মোহাম্মদ রুবেল : কাড়ি কাড়ি ডলার খরচ করে ‘আল-জাজিরা’আবিষ্কার করলো সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ সাহেব মালয়েশিয়ায় তার দণ্ডপ্রাপ্ত ভাইয়ের সাথে দেখা করেছেন এবং তিনি উচ্চাভিলাষী। আমার ছোট বেলায় পড়া,যা আজ থেকে ২৫০০ বছর পূর্বে গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের লেখা ‘এন্টিগনে’নাটকের কথা মনে পড়ে গেলো। নাটকে এন্টিগনে নামক এক অসহায় রাজকন্যা তার দেশদ্রোহী মৃত ভাইয়ের দাফন বিতর্কে বলেছিল - ‘আমার ভাই দেশদ্রোহী হলেও, সে যে আমার মায়ের পেটের ভাই সেটা মিথ্যা হয়ে যায় না।
আমি আমার ভাইকে মর্যাদার সাথে সমাহিত করবো, এতে আমার প্রান গেলেও যাক’। জেনারেল আজিজ সাহেবের ভাই দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও সে যে তার ভাই এটা তো আর মিথ্যা হয়ে যায় না। আমার অবাক লাগে, একটা অপরাধ প্রবণ পরিবার হতে কীভাবে একজন মানুষ এতো উপরে উঠে এসেছেন, যার গায়ে কোনো কাদা লাগেনি। নিশ্চয় তিনি গোবরে পদ্ম ফুল। এমন মানুষ বহু বখে যাওয়া পরিবারের মেধাবী ছেলেমেয়েদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আল-জাজিরা আরেকটি পয়েন্টে দেখানোর চেষ্টা করেছে মিস্টার আজিজ উচ্চাভিলাষী। আমরা জানি একজন সেনা প্রধানের উচ্চাভিলাষ বলতে বুঝায়, যদি তিনি উর্দি ছেড়ে সাফারি পরেন।
যদি কোন জেনারেল বন্দুকের নলের জোরে ধরাকে সরা জ্ঞান করে গণতন্ত্রকে পিষ্ট করে নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে তখন তাকে বলা হয় উচ্চাভিলাষী সেনানায়ক। জেনারেল আজিজ তো তেমন কিছুই করেননি। যেহেতু, পৃথিবীর কোন সভ্য সমাজে সেনা শাসন কাম্য নয় সেহেতু আমরাও এমনটা চাইনা। কেবল বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষই পারে সেনাশাসন চাইতে বা ওই শাসন আনয়ন কল্পে উস্কানি দিতে।
আল-জাজিরা কর্তৃক ঘোড়ার ডিম আবিষ্কৃত হওয়ার পর সরকার বিরোধী মহলগুলো ‘ইউরেকা’ ধ্বনিতে আত্মহারা হলেও তারা ভাবেনি এতে সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জিরো। আর সরকার সমর্থকরা একই উদ্মাদনায় বলতে লাগলো ঘোড়ার ডিম পাড়ার এতোবড় সাহস আল-জাজিরা পায় কোথেকে। কাতারের মতো অগণতান্ত্রিক ও রাজতান্ত্রিক বর্বর একটা দেশের মিডিয়া কি প্রচার করলো তা নিয়ে এতো ফেরেশান হওয়ার মানেটা অন্তত আমি বুঝি না। ভিয়েনা। ফেসবুক থেকে, মামুন
আপনার মতামত লিখুন :