মুনশি জাকির হোসেন : বাংলাদেশ সংবিধান; অনুচ্ছেদ; ‘৩ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র ভাষা হইবে বাংলা’। ভাষা শহীদের মাস, কৃত্রিম ক্রন্দনের মাস। নগরে, রেঁস্তোরা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, রাস্তার বিজ্ঞাপন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র ইংরেজি হরফে নাম। এমনকি উচ্চ আদালতেও সাংবিধানিক ভাষাও অচল। বাংলাদেশের সরকারি আমলা তৈরির কারখানা সাভারের লোক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও বাংলা ভাষা নিষিদ্ধ। উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষা অচল। অথচ, সংবিধানে বলা আছে বাংলা ভাষার প্রাধান্য পাবার কথা। প্রশ্ন হলো, সরকারি কর্মকর্তাদের সেবা দিতে হবে বাংলাদেশিদের, এখানে সেবা দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ই বাঙালি, তাহলে লোক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কেন বাংলা নিষিদ্ধ? স্বাধীন দেশের আদালতে রায় ইংরেজিতে।
এই রায় কি বেনিয়াদের জন্য? নাকি বাঙালির জন্য? বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষকগণ বাংলায় আইনের ভালো বই প্রকাশ করতে পারেনি, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও। সংবিধানের প্রথম ভাগের তৃতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। এরপর দ্বিতীয় ভাগের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: রাষ্ট্র জাতীয় ভাষা-সংস্কৃতি ঐতিহ্য প্রভৃতি উন্নয়নের ব্যবস্থা করবে। তো ১৯৮৭ সালের সর্বস্তরের বাংলা ভাষার প্রচলন আইন কি আলংকারিক? উচ্চ আদালত আরেক কাঠি সরেস। হাশমত বিবি মামলাতে জনৈক বিচারপতিগণ, জঘণ্য কর্ম করে রায় দিয়েছিলো, সংসদের ওই আইন নাকি উচ্চ আদালতের জন্য প্রযোজ্য নহে। ওই সকল বিচারপতিগণেরে শূলে চড়ানো উচিত। ফেসবুক থেকে