হাসান মোর্শেদ : 'All the Prime Minister's man'- বাংলাদেশের আর্মি, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের প্রধানতো বাংলাদেশের প্রাইম মিনিস্টারেরই ম্যান হওয়ার কথা, এর মধ্যে নতুনত্বের কিছু নেই বরং ভালো কিছু আছে। ব্যক্তিগতভাবে সামরিক বেসামরিক আমলাতান্ত্রিক দৌরাত্ম্যের ঘোর বিরোধী। আমি এবার করোনাকালীন মানবিক বিপর্যয়ে সরকারের সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সমন্বিত কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়েছি।
সমাজ ভয় পেয়েছে, জানাজা পড়ানোর হুজুর পাওয়া যায়নি, কিন্তু সিভিল এডমিন, পুলিশ, র্যাব, আর্মি পৌঁছে গেছে মানুষের দোরগোড়ায়। হ্যাঁ, তারা সবাই প্রাইম মিনিস্টাম্যান, তারা তার একক নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবেলা করেছেন। প্রাইম মিনিস্টার এবং তার ম্যানদের আমাদের দরকার আছে দুর্যোগ মোকাবেলা ও চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য।
এক যুগ আগ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির খুব পেয়ারের ছিলো আর্মি, একের পর এক অপকর্ম করানো গেছে। গত এক যুগে যখন আর্মি থেকে পাকিস্তান ফেরত বুড়ো বদমাশগুলো বিদায় নিয়েছে, সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসাররা শতভাগ বাংলাদেশ প্রজন্ম তখন আর্মি ও হয়ে গেছে তাদের চক্ষুশুল। আজমিরীগঞ্জের নৌকার মাঝি, প্রায় নিঃস্ব নবী হোসেনও নিজেকে শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই বলে দাপট দেখান, শেখ সাহেব তার বাবাকে ভাই বলে জড়িয়ে ধরেছিলেন তো।
আর্মি চীফের ভাই এক্স ওয়াই জেডের কাছে নিজেকে শেখ হাসিনার লোক দাবি করে অন্যায় সুবিধা নিতে চাইবে- এটা মোটেও অবিশ্বাস্য নয়। অবিশ্বাস্য হলো, কোনো নিরেট প্রমাণ ছাড়া এর সঙ্গে শেখ হাসিনাকে জড়ানো। দুর্নীতি বাংলাদেশের নতুন কোনো সমস্যা না, দুর্নীতি এই রেজিমেরও সমস্যা না। কিন্তু এই রেজিমে যে বিশাল আর্থিক কর্মকাণ্ড ঘটছে তা আগে কখনো ঘটেনি বলে, দুর্নীতির ঝুঁকিও বেশি।
একই সঙ্গে এটাও সত্য দুর্নীতির অভিযোগ যারা আনেন, তাদের সকলের উদ্দেশ্যও সৎ নয়। পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হওয়া এর উদাহরণ। আর্মি চীফের ভাইদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেগুলো আল-জাজিরার বিশাল কোনো আবিষ্কার নয়। অন্তত বছর খানেক আগেই এসব নিয়ে সংবাদ হয়েছে, মোটামুটি সবারই জানা।
ডেভিড বার্গম্যানদের প্রচেষ্টায় আল-জাজিরা বিশাল হাইপ নিয়ে নতুন মোড়কে এটা প্রচারের টার্গেট হলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা কত্তো বড় দুর্নীতিবাজ। বিশ্বমোড়ল আর গণতন্ত্রের ফেক মুরব্বিদের কাছে কান্নাকাটির আরেক আইটেম- শেখ হাসিনাকে বিদায় করা জরুরি ছলে বলে কলে কৌশলে।
এসব চেষ্টাও তো নতুন নয়। এসবের ও বারো বছর পূর্তি হয়ে গেছে। বরং গত বারো বছরে দুই নম্বরি পথে সরকার ফেলে দেওয়ার কতো চেষ্টা করা হয়েছে সেটার একটা আর্কাইভ করা যেতে পারে। এসব থার্ডক্লাস থ্রিলারে কিচ্ছু হবে না। বেটার লাক নেক্সট টাইম বার্গু এন্ড গং। ফেসবুক থেকে