স্বপন দেব: [২] চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে সবচেয়ে বেশি চা বাগান থাকায় সেখানে তীব্র ঠান্ডায় মাতাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় যানবাহন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরে রাস্তাঘাট। সকাল ৯-১০ টার পরে সূর্যতাপ বৃদ্ধি পেলে কুয়াশার মাত্রা কিছুটা কমলেও কনকনে ঠান্ডায় তীব্র কষ্টে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। মাঘের শীত জেঁকে বসেছে সারা জেলায়।
[৩] সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারি মো. ফরমান আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৪] এদিকে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারি জাহেদুল ইসলাম মাসুম এ প্রতিবেদককে বলেন, কয়েকদিন ধরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে চা বাগান বেষ্টিত শ্রীমঙ্গলে। গতকাল রোববার শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা কম ছিলো।
[৫] জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি উপজেলায় শিশুবৃদ্ধসহ সব বয়সী লোকজন নিমোউনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডা জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
[৬] প্রতিদিন গড়ে শতাধিক ব্যক্তি সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসছেন। বেশি কষ্টে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষ। শীতের তীব্রতায় হাওর এলাকার বোরো আবাদ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে কৃষকরা জানান। এখনও শ’শ’ একর জমিতে চাষাবাদ শুরুই করা যায়নি বলে তারা জানান।
আপনার মতামত লিখুন :