সালেহ্ বিপ্লব: [২] ভয়ঙ্কর শুধু নয়, ভয়ঙ্করতম ঠাণ্ডা এখন। তুষারে মোড়া চারপাশ, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা বা ঝড়ের আশংকা। আর এরই মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বতশিখর কে টু জয় করে এসেছেন নেপালের এক দল পর্বতারোহী। দেশে ফেরার পর বীরোচিত সংবর্ধনা পেয়েছেন। জানিয়েছেন এ আনন্দ বিশ্বকাপ জয়ের চেয়েও বেশি। আল জাজিরা
[৩] ৮ হাজার ৬১১ মিটার (২৮ হাজার ২৫১ ফুট) পাহাড় বেয়ে ১৬ জানুয়ারি তারা কেটুর শীর্ষে পৌঁছান।
[৪] পাকিস্তান-চীন সীমান্তে অবস্থিত পর্বতটি মানুষ জয় করেছে ১৯৫৪ সালে। কিন্তু শীতের মধ্যে এর শৃঙ্গে পৌঁছানো, তাও দলবল নিয়ে, এটাই প্রথম। এনডিটিভি
[৫] ফিরে আসার পর এক গণসংবর্ধনায় দলনেতা নির্মল পুরজা বলেন, টিমওয়ার্কের কারণে আমাদের এ সাফল্য এসেছে।
[৬] এ মাসের শুরুতেই নির্মল ঘোষণা করেছিলেন, এখনও যা অসাধ্য, তাই করে দেখাবেন। শীতকালে কেটুর মাথায় চড়ে তাক লাগাবেন সবাইকে।
[৭] যে কথা সেই কাজ। অনেক বাধাবিপত্তি পার হয়ে জানুয়ারির ১৬ তারিখ এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ১০ জনের কেউই তখন নিজের মধ্যে ছিলেন না, কারো কোনও ব্যক্তিগত উপস্থিতি ছিলো না। ১০ কণ্ঠে একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত আর মাতৃভূমি নেপালের পতাকা, তাদের একাকার করে দিয়েছিলো প্রিয় দেশ ও স্বজাতির সঙ্গে।