শরিফুল হাসান : যুক্তরাজ্য থেকে বিমানে সরাসরি সিলেটে আসা ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আসা ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আমার প্রশ্ন হলো তারা তাহলে যে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিমানে উঠেছিল সেটা কী ভুল ছিল? সবাই যদি করোনা সনদ নিয়ে উঠে থাকে তাহলে ২৮ জন আক্রান্ত হলেন কী করে? আরও কয়েকটি ভাবনার বিষয়। নিয়মানুযায়ী যাত্রার আগেই সবাই করোনা টেস্ট রিপোর্টে ‘নেগেটিভ’ নিয়েই রওয়ানা হলে নামার পর ৪ দিন কোয়ারান্টাইন শেষে করা পরীক্ষায় ‘পজেটিভ’ ধরা পড়লো। তার মানে কী অন্তত কয়েক জন ছিল যারা নিজেরাই করোনা আক্রান্ত এবং অন্যান্যদের তারা ছড়িয়েছেন। আমার মনে হয় বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান দরকার।
কারণ বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো। উল্টো দিকে যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বহু মানুষ সেখানে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাণ যাচ্ছে। আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে। অবশ্য আগের মতো যেন ভুল না হয় সে কারণেই চলতি মাস থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ঢাকা ও সিলেটে বেশ কয়েকটি হোটেলও নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে পরীক্ষায় পজিটিভ ফল এলে তাদের সরকারনির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো ভালো উদ্যোগ। এগুলো শতভাগ বাস্তবায়ন করা দরকার যাতে নতুন করে করোনা না ছড়ায়। সবাই মিলে আমাদের ভালো থাকতে হবে। ভালো রাখতে হবে বাংলাদেশকে। ফেসবুক থেকে