ডা. ফেরদৌস খন্দকার: হঠাৎ হাসপাতালের বড় কর্মকর্তা ফোন করে বল্লেন ‘ফেরদৌস, তোমার আর তোমার দলের জন্যে কোভিড টিকা রেখেছি। কখন আসতে পারবা?’ আর দেরি করিনি। টিকা উদ্ভাবনের খবরে ভেবেছিলাম সবাই খুশি হয়েছিলো। বেপারটি কিন্তু তেমন নয় আজ বুঝলাম। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছিল যে, মানব জাতির একটি বেশ বড় অংশ করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে দ্বিধাদ্বন্দে আছে। প্রথমে এর ব্যপকতা বুঝিনি। কিন্তু যখন বাস্তবিক অর্থেই টিকা এসে গেল এবং আমরা মানুষকে বলতে থাকলাম এবং সহকর্মীদের বললাম টিকা নিন। তখনই বুঝতে পারলাম বাস্তবে টিকা নিয়ে যে দ্বিধাদ্বন্দ সেটা বাস্তবিকভাবে কতোটা ভয়াবহ। আমার দেখা কাছের মানুষগুলোর মধ্যে ৩০শতাংশই সন্দিহান যে টিকা নেবে কি নেবে না।
আমি একটু অবাক হয়েছি। বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও বিজ্ঞানকে অস্বীকার করতে চায়। হ্যা মানছি, কোভিড-১৯ রোগটি একেবারেই নতুন। অনেক তথ্য-উপাত্ত প্রতিদিনই বদলাচ্ছে। গতকাল যেটা সত্য ছিল আজ সেটি সত্য নয়। কিন্তু মানব জাতির সামনে চয়েস কিন্তু খুব বেশি নেই। যতোটুকু বিজ্ঞান সম্মতভাবে এটি এসেছে তাতে বিশ্বাস করতেই হবে। হালাল-হারামের প্রশ্নে আমি যেতে চাই না। বিজ্ঞান সবসময়ই বিজ্ঞান। ভেবেছিলাম টিকা পরে নেবো কিন্তু টিকা সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে বলে মনে হলো আজ তাই নিজেই নিয়ে নিলাম। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আজকের লেখাটি লিখলাম। যদি টিকা কাছে এসে যায় আপনাকে বলা হয় নিতে মেহেরবানী করে নিয়ে নিন। নিজের চেষ্টা টুকু করুন। এটি একটি সামাজিক এবং নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। নিউইয়র্ক। ফেসবুক থেকে