সমীরণ রায়: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ফুলবাড়িয়া মার্কেট ও দোকান বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ইতোমধ্যে দোকান বরাদ্দ বাতিল করে ভেঙে দিয়েছে ডিএসসিসি। ফলে চটেছেন সাঈদ খোকন। সঙ্গত কারণে তাপস ও খোকন প্রকাশ্যে দ্ব›দ্ব ও বাকবিতন্ডা জড়িয়ে পড়েন। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমন করে বক্তব্য দেন। এমনকি এটি আদালতে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ অস¦স্তিতে পড়েলেও স্বাভাবিক বলে দাবি করছেন দলের হাইকমাণ্ড।
[৩] আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনে করেন, ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক মেয়র খোকনের মধ্যেকার দ্ব›দ্বকে অরাজনৈতিক। তারা দুইজনই আওয়ামী লীগের। তাপস দলের মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ও এর আগে তিনি ঢাকা-১০ আসনে এমপি ছিলেন। খোকনও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দলের কেন্দ্রীয় সদস্য। ফলে এটি দলের জন্য বিব্রতকর। এতে দলের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এটি রাজনৈতিকভাবে দেখার কিছু নেই। এটা উন্নয়নগত বিষয়। ইতোমধ্যে খোকনের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তাপস।
[৪] আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, তাপস ও খোকনের মধ্যে সমস্যা রাজনৈতিক নয়। এটা উন্নয়নগত। এটাকে রাজনীতিতে না জড়ানোই ভালো। তাদের উচিত দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা। অথবা আইনিভাবে সমাধান হতে পারে।
[৫] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, তাপস বর্তমান মেয়র আর খোকন সাবেক মেয়র। ফলে তাদের উন্নয়নগত দ্ব›দ্ব ধীরে ধীরে স্বাভাকি হয়ে যাবে। তাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।