রাশিদুল ইসলাম : [২] মার্কিন পররাষ্ট্র দফতার কিউবাকে সন্ত্রাসের জন্যে অর্থের যোগানদাতা দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছে ২০১৫ সালে এধরনের তালিকা থেকে দেশটিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও ফের ওই তালিকায় ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আরটি
[৩] কিউবা সন্ত্রাসীদের জন্যে নিরাপদ স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে এমন মন্তব্য করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। কিন্তু কিউবাকে ফের সন্ত্রাসের যোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে দেশটিকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আরো বলা হয় ক্যাস্ট্রো শাসনামলের অবসান হতে হবে এবং দেশটিতে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের চারণভূমি হওয়ার বিষয়টিতে কঠোর নজরদারি থাকবে।
[৪] মার্কিন অভিযোগে বলা হচ্ছে কিউবা সরকার সন্ত্রাসীদের খাবার, আশ্রয় ও চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছে। তারা হত্যাকারী, বোমা প্রস্তুতকারক ও হাইজ্যাকারদের আশ্রয় দেয়ায় কিউবার নাগরিকরা ক্ষুধার্ত থাকছে, নিরাশ্রয়ী হয়ে পড়ছে এবং চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না।
[৫] এদিকে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন বিদায়ী প্রশাসন তার কঠোর নিন্দা এবং সমালোচনা করেছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সংগঠনটি বলেছে, এর মাধ্যমে ইয়েমেনের জনগণের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই অপরাধমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে।
[৬] হিজবুল্লাহ বলেছে, ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনে সমর্থন দিয়ে এবং অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। সেজন্য তারা এখন আনসারুল্লাহ আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের তিন নেতাকে সন্ত্রাসী হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করছে। এটি অপরাধমূলক তৎপরতা। আনসারুল্লাহ আন্দোলন যেখানে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায্য অবরোধ এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে ইয়েমেনের জনগণের নৈতিক মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র।