তরিকুল ইসলাম: [২] কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাবুল মিয়া (৫৫) নামে এক বাবার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাবার লাশ ফেলে ছেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় এ হত্যা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বাবুল মিয়া উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের রায়পুর গোবিন্দপুর গ্রামে মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাতের এ ঘটনার পর থেকে নিহতের চার ছেলের মধ্যে তিনজন সোহাগ, সুমন ও সাদ্দামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশ জানায়। মঙ্গলবার দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ নিহত বাবুল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করেন।
[৩] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বাবুল মিয়ার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর কুমিল্লা সদরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আগের সংসারের চার ছেলে মেনে না নেয়ায় বিয়ের ছয় মাসেও দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে পারেননি। সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে দ্বিতীয় স্ত্রী বাড়িতে আসে। ছেলেদের বাধাঁর মুখে সন্ধ্যায় চলে যায়। এরপর ছোট বোন নাসিমা আক্তার ভাই বাবুলকে নিয়ে তাদের বাবার সাথে ছেলেদের মিলমিশ করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে ছেলে সাদ্দাম হোসেন, সোহাগ ও সুমন বাবা বাবুলের সাথে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবুল মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
[৪] দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সাদ্দাম ও সুমন সরকার বাঁধার কারণে বাড়িতে যেতে পারিনি। আমার ননদ নাসিমা বেগম পরে আমার স্বামীকে বাড়ি নিয়ে গেলে। তারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। তিনি দাবি করেন।
[৫] দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে কিভাবে মারা গেছেন।
[৬] ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক রাজিব কুমার বলেন, শুনছি বাবা ছেলের মধ্যে ঝগড়া হইছে। কেউ বলছে হৃদরোগে আবার কেউ বলছে ছেলের লাঠির আঘাতে মারা গেছে। বাবা মারা যাওয়ার পরও ছেলেদের খুঁজে না পাওয়ায় সন্দেহ বাড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :