শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩৫ সকাল
আপডেট : ১২ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুলি থেকে ২৮০০ কোটি টাকার মালিক

ডেস্ক রিপোর্ট: একজন কুলি বা রিকশাচালক হয়ে গেছেন কোটিপতি, এতোদিন এমন গল্প তো আমরা শুধু বলিউড বা বাংলা সিনেমাতেই দেখে এসেছি। তবে বাস্তবেও কী এমন কিছু সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব, মনের জোরে বা ইচ্ছেশক্তি থাকলে সবকিছুই সম্ভব।

এমন অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন এমজিএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এমজি মুঠু। তাহলে চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এমজি মুঠু নামক বাস্তব জীবনের এমন এক নায়কের গল্প। তার শেকড় থেকে শিখরে পৌঁছে যাবার গল্প।

তার জন্ম তামিলনাড়ুর ছোট একটি গ্রামে। বাবা ছিলেন সামান্য একজন দিনমজুর। ছোটবেলায় আর সব শিশুর মতো তিনিও স্কুলে যেতেন। তবে তার স্কুলজীবন খুব বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি। কারণ ক্ষুধার কাছে শিক্ষা তো হার মানবেই।

যেখানে দুবেলা ঠিক মতো খাবারই জোটে না, সেখানে শিক্ষাগ্রহণ নিতান্তই বিলাসিতা। তাই অচিরেই স্কুল ত্যাগ করতে হয় তাকে। ১৯৫৭ সালের দিকে মাদ্রাজে গিয়ে বন্দরে কুলির কাজ শুরু করেন তিনি। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি করে এক সময় কিছু টাকা সঞ্চয় করতে সমর্থ হন তিনি।

আর কাজ করতে করতে এই লাইনের অনেকের সঙ্গে তার বেশ সুসম্পর্কও গড়ে ওঠে। সঞ্চিত অর্থ আর সবার সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়েই সে একসময় নিজেই মালামাল সরবরাহের একটা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে।

সামান্য এক কুলির জন্য এরকম একটা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়া তখনকার দিনে ছিল সত্যিই পরম বিস্ময়ের। কারণ এটা ছিল এমন একটা ব্যবসা যেখানে কেবল খুব ধনী ব্যক্তিরাই সফল হতে পারে। এখানে বিনিয়োগ অনেক বেশি করতে হতো, তাই ঝুঁকির হারও থাকত তুলনামূলক বেশি।

তবে মূলধন কম হলে কী হবে, সে সবসময় চেষ্টা করত তার কাস্টোমাররা যাতে তার কাজে কখনো কোনো খুঁত খুঁজে না পায়। সময় মতো মাল ডেলিভারি দেয়ায় সুখ্যাতি ছিল তার। আর এজন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সবার চোখের মণি হয়ে ওঠেন তিনি।

ছোটখাটো কাস্টোমারদের কাছে তার সুখ্যাতি শুনে এক পর্যায়ে বড় বড় কাস্টোমাররাও এসে লাইন ধরতে শুরু করে তার কাছে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করে তার জীবনে। তবে তারপরও তিনি জানতেন, এক পর্যায়ে আরো বড় কোনো ঝুঁকি নিতে হবে।

নয়ত কিছুদিন হয়ত তার অবস্থা ভালোই থাকবে, তবে পরে বড় কোনো প্রতিযোগীর সম্মুখীন হলে হার মানতে হবে তাকে। সেজন্য মোটামুটি বড় রকমের ঝুঁকি নিয়েই তিনি নতুন বেশ কিছু ব্যবসা শুরু করেন। এর মধ্যে কয়লাসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদ, খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়, ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ইত্যাদি অন্যতম।

এভাবে যতই দিন যেতে থাকে, তার ব্যবসার প্রভূত উন্নতি হতে থাকে। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম, তিনি ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপতি এমজি মুঠু, এমজিএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, যেই লোকটা একদিন কুলির কাজ করতেন, দিন আনে দিন খাই গোছের জীবনযাত্রা ছিল যার, সেই লোকটাই আজ ২৫০০ কোটি রুপির মালিক। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন।

একটা শূন্যও বেশি লেখা হয়নি। বাস্তবিকই তিনি আজ আড়াই হাজার কোটি রুপি মূল্যমানের সম্পদের একচ্ছত্র অধিপতি। তাহলে বুঝতেই পারছেন পাঠক, আপনি শুরুটা কোথা থেকে কীভাবে করলেন সেটা জরুরি নয়।

জরুরী হলো, আপনি কোথায় গিয়ে থামলেন আর সাফল্যের মুকুটে কতগুলো পালক যোগ করতে পারলেন। শুরুটা যেমন ভাগ্যের ব্যাপার, শেষটা কিন্তু ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। আপনার শেষটা কেমন হবে তা নির্ধারণ করবেন আপনি নিজেই, আপনার কাজের মাধ্যমে। ডেইলি বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়