রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন ঘাটফরহাদবেগ এলাকায় এক বাসায় স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগে এক গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৩] সোমবার (২১ ডিসেম্বর) কোতোয়ালী থানা পুলিশের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। গৃহকর্মী পরিচয়ের আড়ালে চুরি করা তার পেশা। ঘাটফরহাদ বেগ এলাকা থেকে ঘরের মানুষদের ফাঁকি দিয়ে বাসা থেকে স্বর্ণ আর নগদ টাকা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার নাম করে পালালেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের হলে আটকা পড়েছেন কুলসুম। লোহাগাড়ার নোয়ারবিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুলসুমের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
[৪] এই সময় তার কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণসহ ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি বিবি কুলসুম প্রকাশ কুনসু লোহাগাড়ার নোয়ারবিলা এলাকার কুনসুমার বাড়ীর মৃত নাছির উদ্দিনের মেয়ে।
[৫] আরও জানানো হয়, গত ৩ নভেম্বর কোতোয়ালীর ঘাটফরহাদবেগ এফজি মফজল বিল্ডিংয়ের ৫ম তলার একটি বাসায় এ চুরির ঘটনায় ফারহানুল হক মিশলু (২৯) কোতোয়ালী থানায় ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২লাখ টাকা চুরির ঘটানায় গৃহকর্মী হাসিনা বেগম প্রকাশ আছিয়াকে (৪৫) আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
[৬] এ মামলার ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানার এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ আইয়ুব উদ্দিন, এএসআই(নিঃ)/রণেশ বড়ুয়া, কং/২১৫৫ মুহাম্মদ মহসিন, নারী কং/৪৪৯৪ রোকসানা আক্তার সহ একটি টিম কুলসুমকে লোহাগাড়ার নোয়ারবিলা এলাকার কুলসুমের বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানা যায়, তার দেয়া তথ্যমতে বেডরুমের খাটের নিচ থেকে চুরি করা ২০ ভরি ১২ আনা ৪ রত্তি ১ পয়েন্ট স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ এক ছড়া চাবি উদ্ধার করা হয়।
[৭] পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যমতে চুরি করা স্বর্ণালংকার বিক্রিত ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করেন থানা পুলিশ। বিবি কুলসুম বলেন, চুরি উদ্দেশে তিনি গৃহকর্মীর কাজ নেয়।
[৮] তিনি ৩দিন কাজ করেছে ওই বাসায়। ৩ নভেম্বর তাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিলে সেদিনই তিনি চুরির ঘটানা ঘটায়। মিশলু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঢাকায় যাবার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এতে সুযোগ বুঝে বেডরুমের বালিশের নিচ থেকে আলমারীর চাবি নিয়ে রেখে দেয় কুলসুম। মিশলু ও তার খালাতো ভাই আমজাদ হোসেন (৩১) ঘুমে থাকা অবস্থায় কৌশলে আলমারী থেকে রক্ষিত স্বর্ণালংকারসহ নগদ ২লাখ টাকা চুরি করে বাসা থেকে পালিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। ফারহানুল হক মিশলু জানান, গৃহকর্মী কাজ নেওয়ার পূর্বে তার নাম হাসিনা বেগম প্রকাশ আছিয়া (৪৫) বলেছেন। তিনি বাঁশখালীর কাথারিয়া এলাকার নুরুল আলমের সন্তান বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এই মামলায় আমরা খুব টেকনিক্যালি অভিযান পরিচালনা করেছি এবং মামলায় আসামির নাম ঠিকানা কিছুই ঠিক ছিলনা যার কারণে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে আসামিকে শনাক্ত করতে হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’