রাশিদুল ইসলাম : [১] ইম্ফলের মুখ্যমন্ত্রীর এন বীরেন সিংকে দেয়া চিঠিতে মণিপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার থৌনাওজাম বৃন্দা লিখেছেন যে পুরস্কার তিনি পেয়েছেন তিনি তার যোগ্য নন মনে করছেন নিজেকে। এই চিঠির সঙ্গে তিনি মেডেলটিও ফিরিয়ে দেন। ওয়াল
[৩] একটি ড্রাগ পাচার চক্রের তদন্তে নেমে হাতেনাতে অপরাধীদের ধরেছিলেন ওই অফিসার। বিজেপির প্রাক্তন এডিসি চেয়ারম্যান-সহ মোট সাত জন যুক্ত ছিলেন এই ঘটনায়। এই হেভিওয়েট অপরাধের তদন্তে সফল হতেই সকলে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তরুণী পুলিশ অফিসার থৌনাওজাম বৃন্দাকে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে পুরস্কৃত করা হয় তাকে।
[৪] দুই বছর আগের এই সাফল্য কাঁটার মতো বিঁধে আছে তার। এর কারণ হল, অপরাধীরা ধরা পড়লেও, তিনি নিজে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এই তদন্তে। আর এই অসন্তুষ্টির কারণ হল, তিনি চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেও পরবর্তী কালে আদালতে খালাস পেয়ে যায় তারা।
[৫] থৌনাওজাম লেখেন, ‘সরকারের প্রতি সমস্ত শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আদালতের সিদ্ধান্তকেও সম্মান করে বলছি, ড্রাগ মামলায় অভিযুক্ত বিজেপির প্রাক্তন এডিসি চেয়ারম্যান লুখোসেই জোউ ও তার ৬ সঙ্গীর মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় আমার নিজেকে অনুপযুক্ত মনে হচ্ছে। যদিও আমি ঘটনার সময়ে বিপুল পরিমাণ ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করেছিলাম, তবু আদালতে আমার তরফে প্রমাণের ঘাটতি থেকে গিয়েছিল।’
[৬] এর পর তিনি লেখেন, ‘আমার নীতিগত ভাবে নিজেকে ক্ষুণ্ণ মনে হচ্ছে। আমার কর্তব্য পালনে হয়তো ত্রুটি ছিল। ওই সাত জনের মুক্তির পরে আমি নিজেকে সাহসিকতা পুরস্কারের যোগ্য বলে মনে করছি না। তাই মেডেল ফিরিয়ে দিচ্ছি। এটি যোগ্যতর কোনও অফিসারের প্রাপ্য।’