শরীফ শাওন: [৩] মার্চ পর্যন্ত আরও তিন মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) শিক্ষাক্রম উইং সদস্য প্রফেসর মশিউজ্জামান। তিনি বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসইনমেন্ট তৈরি করা হবে, তবে ১৬ জানুয়ারির আগে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। প্রাইমারিতে প্রথম প্রান্তিকে আগের বর্ষের পাঠদান পরিকল্পনা করা হয়েছে।
[৪] প্রফেসর মশিউজ্জামান জানান, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া, নেয়া বা মার্কিং করা গুরুত্বপূর্ন না। এবার সেলফ্ লার্নিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে চাই। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের যে কাজ দেয়া হবে, তারা একক বা দলগতভাবে তা করতে পারবে। এতে শিক্ষার্থীদের ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং, কো-অপারেশন, কোলাবোরেশন এসব স্কিলগুলো গ্রো করবে।
[৫] নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সিলেবাস এবার সংক্ষিপ্ত করা হবে না। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা কোন বিষয়ে দুর্বল রয়েছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন ক্লাসে পড়ানোর সময় তারা আগের ক্লাসের পাঠ রিভিউ নিশ্চিত করবেন। শিক্ষক নির্দেশিকা তৈরি করেছি, চলতি মাসে তা শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হবে। শিগগিরই এসকল বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
[৬] প্রাথমিক শিক্ষাক্রম সদস্য ড. রিয়াজুল হাসান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলে প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের জন্য ৬০-৭০ দিনের পাঠ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় তাদের পুর্বের ক্লাসের পাঠদান দেয়া হবে। কারণ প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে পাঠদানের বিকল্প নেই। এসময় তাদের স্বাক্ষরতা এবং মানবতা শিক্ষা দেয়া হয়। এছাড়াও ক্লাস্টার আকারে পাঠদানসহ টেলিভিশন, রেডিও শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :