কাজী হানিয়াম মারিয়া: মাঝেমাঝেই ছাত্র-ছাত্রীরা যখন তাদের থিসিস বা প্রেজেন্টশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ব্যবহার করে মোটা, চ্যাপ্টা করে মানে এসপেক্ট রেশিও ঠিক না রেখে তখন একটা লম্বা চওড়া লেকচার দিই। কারণ এই লোগোগুলোর একটি নির্দিষ্ট মাপ আছে এবং এটিকে ছোট-বড় করতে হয় সেই মাপ অনুসারে। আকারের মতো এগুলোর রংয়ের তারতম্যও গ্রহণযোগ্য নয়। তেমনই আমাদের জাতীয় পতাকার একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন, মাপ আছে। আমরা নিজেদের পছন্দমতো সেটা পরিবর্তন করে ফেলতে পারি না, কোনোমতেই না। গাড় সবুজের বুকে লাল বৃত্তটির একটি মানে আছে। হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের স্বাধীনতার সূর্য। কোনো কারণে এই সূর্যটি আয়তক্ষেত্র হয়ে গেলো তার ব্যাখ্যা শিক্ষকসমাজ দেবেন কী? এটি একটি গুরুতর অন্যায়। জাতীয় পতাকার বিকৃতি একটি অপরাধ। আইকিউ কম লোকদের নিয়ে একটি কৌতুক আছে। দোকানে গিয়ে জাতীয় পতাকা আছে কিনা জানতে চাইলে দোকানি জানায়, আছে এবং সব সাইজের আছে। তখন বোকা লোকটি জিজ্ঞেস করে, অন্য কোনো কালারের হবে?
আমি ভয়ে আছি কোনোদিন না জানি, তাদের লাল-সবুজ দেখতে বোর লাগবে, তারপর...। আরেকটি প্রশ্ন রাখি, সুশীল সমাজের কাছে, এই জাতীয় পতাকা বিকৃতি যদি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জায়গায় মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্ররা করতো, তাহলে এতোক্ষণে তাদের শিক্ষাব্যবস্থার কতোটা বাজাতেন আপনারা? বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে হাতাহাতি করা, পারলে আরেকজনের গায়ের উপর দিয়ে ক্যামেরায় মুখ দেখানো, ভুল ব্যানার নেওয়া আসলে প্রমাণ করে যে, আপনাদের উদ্দেশ্য আসলে শ্রদ্ধা নিবেদন না, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে খুশি করা এবং তা করতে গিয়ে নিজেদের সাথে সাথে পুরো শিক্ষক সমাজকেই অপমাণিত করছেন। নিজেরাই যদি কিছু না জানেন, হাতাহাতি করেন, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের আর কী শিখাবেন। আসলেই পচন আমাদের মাথায় ধরেছে। ফেসবুক থেকে