বাশার নূরু: [২] সোমবার দুপুরে পাকিস্তান দূতাবাসে ওই স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষে স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেন পাকিস্তান দূতাবাসের ডিপলম্যাটিক জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
[৩] এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সমাবেশ শেষে পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে স্মারকলিপিসহ একটি মিছিল নিয়ে রওনা করলে শাহবাগে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মিছিল থেকে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে পুলিশের পক্ষ থেকে পাকিস্তান দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয়।
[৪] প্রতিনিধি দলে ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ভাস্কর শিল্পী রাশা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন, আইনবিষয়ক সম্পাদক এজেডইউ প্রিন্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ।
[৫] রাজু ভাস্কর্যের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সমাবেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, পাকিস্তানকে অবিলম্বে গণহত্যার দায় স্বীকার করে বাংলাদেশের কাছে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দূতাবাস এখনও ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। পাকিস্তান দূতাবাসের কার্যক্রমে নজরদারি বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
[৬] ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, পাকিস্তানকে একাত্তরের গণহত্যা ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের অপরাধে দ্রুত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় গণহত্যার অপরাধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবো। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা এদের ষড়যন্ত্র রুখে দেবো।