রাশিদুল ইসলাম : [২] তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন ধৈর্য নিয়ে তার দেশে পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার কথা জানিয়ে এরদোগান আরো বলেন এধরনের নিষেধাজ্ঞা তার দেশের ওপর আরোপিত হলে তা হবে ন্যাটো মিত্র কোনো দেশের জন্যে অপমানজনক। ডেইলি সাবা/প্রেসটিভি
[৩] মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ঘটনায় তুরস্কের বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন দুই কর্মকর্তাসহ চারটি সূত্র বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে আংকারার ওপর মার্কন নিষেধাজ্ঞা বসলে তুরস্কের সাথে ন্যাটো জোটের দূরত্ব আরো বেশি বাড়বে- এতে কোনো সন্দেহ নেই।
[৪] ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্ক আড়াইশো কোটি ডলারের সামরিক চুক্তি হয় যার আওতায় দেশটি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এস-ফোর হান্ড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার কথা নিশ্চিত করে। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে জঙ্গিবিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সহজে ধ্বংস করা যায়। এছাড়া, ভূমিতে স্থাপিত যেকোনো স্থাপনার বিরুদ্ধেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকরী।
[৫] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছে মার্কিন এফ-৩৫ বিমানের দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই মূলত যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের ওপরে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা না কেনার চাপ সৃষ্টি করেছে।