লিহান লিমা: [২] চার মাসের মাথায় চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার কথা জানিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মরক্কো। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। আল জাজিরা/বিবিসি
[৩] মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার এক ফোনালাপের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি নিশ্চিত করেন। টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটলো। আমাদের দুই সেরা বন্ধু ইসরায়েল ও মরক্কো রাজতন্ত্র পূর্ণ কূূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সম্মত হয়েছে। এটি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বৃহত্তর পদক্ষেপ!’
[৪]ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এখন থেকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হবে।’
[৫]হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জ্যারেড কুশনার বলেন, ‘শীঘ্রই তেল আবিব ও রাবাতে দুই দেশ একে অপরের দূতাবাস খুলবে। দুই দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক চালু হবে।’ এই সময় কুশনার আরো বলেন, সৌদিআরবের ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়াও অবশ্যম্ভাবি।
[৬] চুক্তির আওতায় ট্রাম্প প্রশাসন পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের বিতর্কিত এলাকায় মরক্কোর সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেবে। এতোদিন এই এলাকাটি নিয়ে আদিবাসী সাহারোবিদের সশস্ত্র গোষ্ঠি ‘পোলিসারিও ফ্রন্ট’ এর সঙ্গে মরক্কোর লড়াই চলছিলো। মরক্কো দাবী করে এই অঞ্চল তাদের অর্ন্তগত, যদিও আফ্রিকান ইউনিয়ন এটিকে সাহারোবিদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৯১ সালে জাতিসংঘ এই অঞ্চল নিয়ে গণভোটের নির্দেশ দিয়েছে, যা এখনো কার্যকর হয় নি। জাতিসংঘে পোলিসারিও ফ্রন্টের প্রতিনিধি সিদি ওমর বলেন, ‘পশ্চিম সাহারাকে মরক্কোর সার্বভৌমের অধীন বলে স্বীকৃতি দেয়া জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’
[৭]ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংস্থা (পিএলএ) এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ব্যক্ত করে বলেছে, ‘ফিলিস্তিন ও আরব ভূমিতে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধের পূর্বেই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন অগ্রহণযোগ্য ও ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে অবমাননা।’ হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ‘এটি পাপ। ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো দেশের সম্পর্ক স্থাপন মানে ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলের নিপীড়নকে মদদ দেয়া।’