ডেস্ক রিপোর্ট: তামাকের অঞ্চল বলে খ্যাত রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে এখানকার কৃষকরা চা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। তারা পঞ্চগড় ও সিলেট থেকে চায়ের চারা নিয়ে এসে জমিতে রোপন করছে। চা চাষে লাভজন হওয়ায় চায়ের বাগান করে সাফল্য অর্জন করেছেন মন্টু বর্মন রায়।
তিনি জানান, দুই বছর আগে যে জমিতে তামাক চাষ করতো এখন সেই জমিতে চা চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছে। চা চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় তার দেখা দেখি এখন অনেকে চা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
মন্টু বর্মন জানান, পঞ্চগড় থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা খরচ করে ৮শ চা চারা নিয়ে এসে দেড় একর জমিতে চায়ের চারা রোপন করেছেন। সব মিলে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। উৎপাদন খরচ বাদে এক বছরের সে আয় করেছে ৪ লাখ টাকা।
তিনি জানান, জমিতে চায়ের চারা রোপণের ৪৫ দিন পর বাগান থেকে চা পাতা কর্তন করতে হয। এর পর চা বিক্রি করেন পঞ্চগড় ও সিলেটের চা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে।
মন্টু বর্মন জানান, আগে জমিতে তামাক চাষ করতেন। তামাক চাষ করতে পরিশ্রম বেশি। গত দুই বছর ধরে তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে চা চাষ করছেন। চা চাশে পরিশ্রম কম লাভ বেশি। তার দেখাদেখি এখানকার অনেক তামাক চাষি চা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। রংপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে আসছেন তার চা চাষের জন্য পরামর্শ নিতে। কিভাবে এই চা চাষ করা যায়। কত টাকা খরচ হয় কত টাকা লাভ হয়। এসব পরামর্শ নিচ্ছেন তার কাজ থেকে।
চা বাগানে কর্মরত শ্রমিক আবেদ আলী, তৃষা রানী রায়, বাদল রায় জানান, প্রতি মাসে ১০০ নারী ও পুরুষ শ্রমিক এই চা বাগানে কাজ করছেন। এই চা বাগানে কাজ করে পরিবারসহ সংসার ভাল চলছে তাদের।
চা চাষি সঞ্জয বর্মন জানান, অল্প সময়ে লাভ বেশি হওয়ায় এখানে চায়ের চাষ বেড়েছে। আরো বেশি লাভের আশা করছেন তারা। সরকার যদি চায়ের দাম আর একটু বাড়িয়ে দেন তাহলে সামনে বছর আমরা এখনে আরো চা বাগান গড়ে তুলতে পাবো।
তিনি জানান, ঝড় বৃষ্টিতে চায়ের বাগান নষ্ট হয় না। এখানকার চা বেশ সুস্বাদু এই চা দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডক্টর মোহাম্মদ সরওয়ারুল হক জানান, অল্প পরিশ্রমে চা চাষ করছেন তারাগঞ্জ উপজেলার চাষিরা। তারা তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে চা চাষে ঝুঁকছেন। চা চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকে চা বাগান করার জন্য তাদের কাছে এসে পরার্মশ নিচ্ছেন। কৃষি বিভাগ থেকে এখানকার চা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা করা হচ্ছে। ডেইলি বাংলাদেশ