রাহুল রাজ : [২] কাতার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান ফুটবলে ধুঁকে ধুঁকে চলা একটি দল। কাতারের ফিফা র্যাংকিং ৫৯, বাংলাদেশের ১৮৪।
[৩] ফুটবলে দুই দেশের এ যে বিশাল পার্থক্য তাতে ৫-০ গোলের জয়-পরাজয়টাই বাস্তবতা। বাংলাদেশ এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা দেখলো কাতারের দোহার আবদুল্লাহ বিন নাসের খলিফা স্টেডিয়ামে।
[৪] বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে কম গোল খাওয়ার লক্ষ্যে রক্ষণাত্মক কৌশলে দল সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। কিন্তু দুই দলের শক্তির যে পার্থক্য তাতে বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ ভেঙ্গে গেলো বালির বাধের মতো।
[৫] ঢাকায় ২-০ গোলে জিতেছিল কাতার। ঘরের মাঠে ব্যবধান ৫-০। ঢাকায় হারলেও জামাল ভূঁইয়ারা ভালো খেলেছিল। দোহায় সে সুযোগ দেয়নি কাতার। শুরু থেকে চেপে ধরে প্রথমার্ধেই আদায় করে নেয় ২ গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আরো ৩ গোল যোগ করে ৫-০ ব্যবধানের জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ই গ্রæপে নিজেদের শীর্ষস্থান আরো মজবুত করলো ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজকরা।
[৬] ৯০ মিনিটের বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশের অর্ধেই ছিল বল। পরিসংখ্যান বলছে বল পজিশন ৭৫ ভাগ ছিল কাতারের। তাদের জয়টা তো বড় ব্যবধানে হবেই। স্বাগতিকদের আরো বড় জয় আসতে পারতো।
ক্যারিয়ারর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেমে পোস্টের নিচে দুর্দান্তই খেলেছেন আনিসুর রহমান জিকো। দুটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়েছেন। কাতারের পাওয়া পেনাল্টিটাও প্রায় ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের এ গোলরক্ষক।
[৭] একচেটিয়ে প্রাধান্য নিয়ে কাতারের প্রথম গোল করেন আবদুল্লাজিজ হাতেম ৯ মিনিটে। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আকরাম আফিফ। ৭২ মিনিটে আলময়েজ আলী পেনাল্টি থেকে এবং ৭৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ইনজুরি সময়ে আকরাম আফিফ নিজের দ্বিতীয় গোল করে কাতারের ৫-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।
[৮] এ জয়ে কাতার ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের অবস্থান আরো শক্ত করলো।
আপনার মতামত লিখুন :