আজহারুল হক: [২] ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের করফুলনেছা নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া দুই ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে নিয়মিত বলাৎকার করতেন এক শিক্ষক এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
[৩] এর আগে এক শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে মো. বাকী বিল্লাহ মানিক (৩৮) নামে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার দুপুরে ওই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়।
[৪] উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামের আজিম উদ্দিন মাস্টারের পালিত ছেলে একই মো. বাকী বিল্লাহ একই ইউনিয়নের করফুলনেছা নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসায় নূরানী শাখার প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। কিন্তু ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় শিশুদের প্রায়ই বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠে।
[৫] স্থানীয়রা জানায়, গত ১৫ নভেম্বর সকালে প্রধান শিক্ষক মানিক মাদ্রাসার পাঠদান কক্ষের ব্ল্যাকবোর্ডের পেছনে নিয়ে নয় বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন। এরপর আরো কয়েকদফা পাঠদান কক্ষেই ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে তিনি।
[৬] এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্র মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেয়। গত ২৫ নভেম্বর ওই ছাত্রকে তার বাবা বাড়ি থেকে ফের মাদ্রাসায় দিয়ে আসলেও সে বাড়ি ফিরে যায়। তার বাবা বাড়ি ফেরার কারণ জানতে চাইলে সে বলাৎকারের ঘটনা পরিবারকে জানায়। এঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের বাবা শুক্রবার রাতে গৌরীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
[৭] গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শুধু ওই শিক্ষার্থীই নয়, আারেক শিক্ষার্থীকেও নিয়মিত বলাৎকার করতেন শিক্ষক মো. বাকী বিল্লাহ মানিক। ওই অবস্থায় শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী