তাহেরুল আনাম: [২] ধান উৎপাদনে দেশের প্রথম দিনাজপুর জেলা। সুগন্ধি,কাঠারি থেকে শুরু করে সব ধানই এখান থেকে দেশের সকল জেলায় রপ্তানি করা হয়। ধান কাটা শুরু হয়েছে। অন্যদিক বাজারে বিক্রিও শুরু হওযায় দিনাজপুরের হাট-বাজারে জমে উঠেছে। পর্যাপ্ত আমদানি ও ধান ক্রয়-বিক্রয়ে মুখরিত হয়ে উটছে ক্রেতা-বিক্রেতা। ধানের দাম পেয়ে খুশি কৃষক।
[৩] দিনাজপুরের গোপালঞ্জ, রানিগঞ্জ,ফার্মের হাট,সিকদার হাটসহ প্রায় সবগুলি হাটে আমন ধান ক্রয়-বিক্রয়ে জমে উঠেছে। কাক ডাকা ভোরে ধান কেনা-বেচা শুরু হয়ে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। এসময় ধান ক্রেতা ও বিক্রেতাদের গুনগুনানিতে সরগরম হাটগুলো।
[৪] গুটি স্বর্ন, সুমন, হাইব্রিড ২৮ ও ২৯ বিনা এবং ৫১ জাতের ধান কেনা বেচা হচ্ছে। পাইকার,মিল মালিক ও মজুদদাররা ধান কিনছেন। গত বছর কৃষকেরা ধানের ন্যয্য দাম পায়নি। এবার ভালো দাম পাওয়ায় খুশি তারা। প্রতিমন মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়। বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৯শ ৫০ টাকা থেকে ২১শ টাকা পর্যন্ত। তবে চিকন ধান বাজারে উঠতে আরো সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ দিন। বাজারে ধানের বেশি দাম থাকায় এবার সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ক্রয় ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
[৫] কৃষকরা বলেন, ধানের দাম যেমন বেশি তেমনি পোকার আক্রমণও বেড়েছে অতিমাত্রায় যার কারণে সার, কিটনাশকও এবার বেশি দিতে হয়েছে। তবে মোটা ধানের তুলনায় চিকন কাঠারি ধানের দাম অনেক কম বলে কৃষকরা জানান।
[৬] দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দিনাজপুর উপ-পরিচালক কৃষিবীদ তৌহিদুল ইকবাল জানান, দিনাজপুর জেলায় এবার ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ৭৭৫ হাজার মেট্রিকটন আমন ধানের ফলন হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। ধানের দাম পাওয়ায় কৃষকরা যেমন খুশি আমরাও তেমন খুশি।
[৭] দেশের কৃষকেরা ফসলের ন্যয্যমূল্য পাওয়ায় আমন চাষে উৎসাহিত হবে। দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকবে না-বিদেশেও রপ্তানি হবে। দেশের কৃষি এগিয়ে যাবে-দেশ হবে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ এমনটি মনে করেন কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্তরা। সম্পাদনা: হ্যাপি