লিহান লিমা: [২] সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে এফআইএর কাছে মিথ্যে বলায় দোষী প্রমাণিত হন। বুধবার এক টুইট পোস্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমা প্রদান করার ঘোষণা দেন। গার্ডিয়ান
[৩]টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘জেনারেল ফ্লিনকে পূর্ণ ক্ষমা প্রদান করাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আশা করছি এবারের থ্যাংকসগিভিং ফ্লিন ও তার পরিবারের জন্য অসাধারণ হবে।’ ফ্লিনের পরিবার ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
[৪] জানা গিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পূর্বে আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শককে ক্ষমা করতে পারেন ট্রাম্প।
[৫]এর আগে মার্কিন নির্বাচনের সময় ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রুশ যোগাযোগ নিয়ে রবার্ট মুলারের তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়া দীর্ঘদিনের মিত্র রজার স্টোন, প্রচারণা শিবিরের ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্ট ও পরামর্শক জর্জ পাপাডোপোলাসের শাস্তি লঘু করেছিলেন ট্রাম্প।
[৬]রজার স্টোন কংগ্রেসে মিথ্যে বলাসহ অন্যান্য অপরাধে তিন বছরের জন্য কারাদণ্ড ভোগের শাস্তি পেয়েছিলেন। ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা শিবিরের সিইও ও হোয়াইট হাউসের কৌশলি স্টেভ ব্যাননের ওপর জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিলানির বিরুদ্ধে লবিংয়ের আইন লঙ্ঘন করার সম্ভাব্য অভিযোগের তদন্ত চলছে।
[৭]ফ্লিনকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমার তীব্র সমালোচনা করছেন ডেমোক্রেটরা। হাউসের তদন্ত কমিটির ডেমোক্রেট প্রধান অ্যাডাম স্কিফ বলেন, ‘নিজের দোষ ঢাকা বন্ধুদের ক্ষমা প্রদান করে ট্রাম্প ক্রমাগত প্রেসিডেন্টের ক্ষমা করার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড দুর্নীতির শামিল।’