সুজিৎ নন্দী : [২] রাজধানীর আবাসিক, বাণিজ্যিক এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। রাজধানীর অধিকাংশ সড়কেই কমবেশি চলছে সংস্কারের কাজ। এ কারণে ধুলাবালির পরিমাণটা অনেক বেশি। এমনিতেই করোনাকালে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। এছাড়াও বাস-ট্রাকের কালো ধোঁয়াও মানবদেহে মারত্মক ক্ষতি করছে।
[৩] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, প্রতিদিন ডিএনসিসি ১০টি পানি দেয়ার ট্রাকের মাধ্যমে দুই বেলা পানি দেয়া হয়। সকাল ১১টা এবং বিকাল ৫টার দিকে পানি ছেটানো হচ্ছে।
[৪] এদিকে বায়ুদূষণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘হেলথ ইফেক্টস ইন্সটিটিউট’ এবং ‘ইন্সটিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন‘ সম্প্রতি বায়ুর মানের দিক থেকে এশিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত অঞ্চল বলে ঘোষণা দিয়েছে।
[৫] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, তাদের যতটুকু সমার্থ ততটুকু আমরা পানি ছিটিয়ে থাকি। তবে এবার বাজেটে পানি ছেটানোর ট্রাক কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
[৬] স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র জানায়, দূষিত বায়ু মানবদেহের ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে শুরু করে ষ্ট্রোক, হৃদরোগ ও অ্যাজমাসহ শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ব্যাধির কারণ হতে পারে। ধুলাবালি, সিগারেটের ধোঁয়া ও কীটনাশক স্প্রের কণা বাতাসকে দূষিত করে মানবদেহে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের সংক্রমণ ঘটায়। ব্যাপক সিসা দূষণের কারণে শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ বাধাগ্রস্ত ও স্নায়বিক ক্ষতি হতে পারে।
[৭] নারীর গর্ভপাত, মৃত শিশু প্রসবের আশঙ্কাও রয়েছে। এ শহরের বায়ুদূষণ ৫০ শতাংশ হয় ইটভাটা, ৩০ শতাংশ রাস্তা খোঁড়াখুড়ি ও সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে, মটরগাড়ি ২০ শতাংশ ও ১০ শতাংশ গাড়ির জ¦ালানি থেকে।
[৮] ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, কনস্ট্রাকশনের ধুলাবালি যাতে ছড়িয়ে না পরতে পারে এজন্য ঘেরাও করে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব অনেকগুলো কর্মসূচি হাতে নিয়ে হয়েছে। মোবাইল কোর্টের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি। তিনি বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধমে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা, মশার ঔষধ ছিটানো, পানি ছিটানো নানা মেশিন ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছি। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী