রাশিদ রিয়াজ : টেসলা গাড়ির শেয়ারমূল্য পুঁজিবাজারে ফের বেড়ে যাওয়ায় বিল গেটসকে পেছনে ফেলে দিলেন এলন মাস্ক। ৭০০ কোটি ডলার থেকে তার সম্পদ এখন ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। এর আগে মাস্ক ফেসবুক কর্মকর্তা জাকারবার্গকে টপকে গিয়েছিলেন। ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় ধনী তাও এ বছরেই। টেসলার কর্ণধার মাস্ক এ বছরেই ১০ হাজার কোটি ডলার সম্পদ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। ব্লুমবার্গ/গার্ডিয়ান
বিশ্বের ৫’শ ধনী ব্যক্তির তালিকায় গত জানুয়ারিতেও মাস্ক ছিলেন ৩৫তম স্থানে। গত সেপ্টেম্বরে প্রথম পাঁচে উঠে আসেন মার্ক জাকারবার্গকে পেছনে ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এ বছরে টেসলার শেয়ার দর বেড়েছে উল্কার গতিতে প্রায় ৪৭৫ শতাংশ। গেটসকে টপকে গেছেন সহজেই। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি এখন আমাজন মালিক জেফ বেজোস। একসময় এই জায়গা ছিল গেটসের। গত বছরও আন্তর্জাতিক ফোর্বস পত্রিকার তালিকায় বেজোসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের ধনীতম ব্যবসায়ী ঘোষিত হয়েছিলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গেটস। ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত একটানা ফোর্বসের তালিকায় শীর্ষস্থানটি ধরে রেখিছিলেন বিল গেটস। ২০১৮ সালে তাকে পিছু হটিয়ে দেন জেফ বেজোসই। মিলিয়নিওরের চৌকাঠ পেরিয়ে ট্রিলিওনিয়রের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন গেটস। ২০০৬ সালে বিল গেটসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলার। ২০১৬-র শেষে সেই সম্পত্তি গিয়ে দাঁড়ায় ৭৫ বিলিয়ন বা সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি। তবে নিজের ফাউন্ডেশনকে বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান দেন গেটস। এ বছর কোভিড গবেষণা ও ভ্যাকসিন বিতরণের জন্যও প্রচুর অর্থ অনুদান দিয়েছেন গেটস। দীর্ঘ আট বছরের রেকর্ড ভেঙে ধনকুবেরদের তালিকায় এই প্রথমবার তিন নম্বরে নেমে এলেন গেটস।
এদিকে এলন মাস্কের এ বছরেই সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১’শ বিলিয়ন ডলার। তার গাড়ি কোম্পানি টেসলার বাজার মূল্য এখন ৫’শ বিলিয়ন ডলার। আর এই টেসলা থেকেই মাস্কের সম্পদের তিন চতুর্থাংশ এসেছে। টেসলার শেয়ার মূল্য স্টক এক্সচেঞ্জে যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে এলন মাস্ক বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে রেকর্ড আয় করবেন ৫৫.৮ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৮ সালে টেসলা হয়ে দাঁড়াবে সাড়ে ৬’শ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি। টেসলা এখনই বিশে^র যে কোনো গাড়ির কোম্পানির চেয়ে সবচেয়ে দামি কোম্পানি। কোভিড মন্দার ভেতর এ বছরেও টেসলা ৫ লাখ গাড়ি বিক্রি করছে। জাপানের গাড়ি কোম্পানি টয়োটা বছরে উৎপাদন করছে ১ কোটি তবে তা অনেক সস্তা। এলন মাস্ক মহাকাশ কোম্পানি স্পেস এক্স’এ প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। গত সপ্তাহে ফ্যালকন রকেটে স্পেস এক্সের ৪ জন নভোচারী মহাকাশে যাত্রা করে। বিশ্বে ইন্টারনেটের গতি আরো বৃদ্ধি করতে ছোট আকারের ৬০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে স্পেস এক্স।
বিশ্বে অর্থনীতি যখন কোভিড মন্দার খপ্পরে পড়েছে তখন ব্লুমবার্গ সূচকের হিসেবে শীর্ষ ধনীরা গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১.৩ ট্রিলিয়ন অর্থ আয় করেছেন।