শিরোনাম
◈ আইসিসি উ‌ত্তে‌জিত, পা‌কিস্তান ক্রিকেট দল কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পা‌রে ◈ নি'ষিদ্ধ দলের লোককে বাসা ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং! (ভিডিও) ◈ নারীদের লেখা বই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে সরানোর নির্দেশ তালেবানের, যৌন হয়রানি নিয়েও পড়ানো নিষেধ ◈ ঢাকাসহ বি‌ভিন্ন জেলায় আওয়ামী লী‌গের কর্মকা‌ণ্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?  ◈ টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার! ◈ খেলাফত মজ‌লি‌সের মামুনুল হক হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে কেন? ◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা 

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উদিসা ইসলাম: ফিরে দেখা, ১৯ নভেম্বর ১৯৭২ পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে বঙ্গবন্ধুর আহ্বান

উদিসা ইসলাম: বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কর্মকাণ্ড ও তার শাসনামল নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বাংলা ট্রিবিউন, আজ পড়ুন আমাদের নতুন সময় ওই বছরের ১৯ নভেম্বরের ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সুখে শান্তিতে থাকতে চাই, পেট ভরে খেতে চাই। তাই বিশ্বের বড় বড় শক্তির কাছে আবেদন, পারমাণবিক শক্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতা পরিত্যাগ করুন। আণবিক শক্তি ধ্বংসের জন্য নয়, সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করুন।’

আন্তর্জাতিক জোলিও কুরি শান্তিপদক লাভের গৌরব অর্জন উপলক্ষে ১৯৭২ সালের ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রদত্ত সম্বর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আহ্বান জানান। দৈনিক বাংলা বিশ্বশক্তিদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমরা বিশ্বশান্তিতে বিশ্বাসী। আমরা মনে করি এমন কোনো সমস্যা নেই যা আলোচনা করে সমাধান করা যায় না। তবু কেন এতো হানাহানি? বিশ্ব শক্তিসমূহকে তা ভাবতে হবে। কোথায় ভুল তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারবেন তারা।’ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কোরবান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় এর আগে বঙ্গবন্ধুকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করে বক্তৃতা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। দৈনিক বাংলা গণহত্যাকারীরা মাফ চাও, বাঙালিরা ক্ষমা করতেও পারে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উক্ত সভায় বলেন বাংলাদেশে যারা গণহত্যা, নারী নির্যাতন ও বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে তারা যদি আমাদের জনগণের কাছে প্রকাশ্যে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চায় তাহলে বাংলার মানুষ তাদের ক্ষমা করে দিতেও পারে।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেন, যারা ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, এই আশায় বাংলার মানুষ তাদের অপরাধ ক্ষমা করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু তারা যদি অন্যায়কে উত্তম বলে দেখাতে চায় তাহলে সেটা হবে দুঃখের বিষয়। এ দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঠিকই করেছে বলে প্রেসিডেন্ট ভুট্টো সম্প্রতি যে বিবৃতি দিয়েছেন তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি করে তারা বিশ্বশান্তি বিঘ্নিত করেছে। তিনি বলেন বিশ্বশান্তি অপরিহার্য। বিশেষ করে এশিয়ার উন্নয়নকামী দেশসমূহের জন্য তা একান্ত প্রয়োজন।

পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, এ অঞ্চলের কোন কোন দেশ জাতীয় আয়ের শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ অর্থ সামরিক খাতে ব্যয় করে থাকে? ইত্তেফাক ইন্দিরার জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর বাণী ১৯ নভেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে ব্যক্তিগতভাবে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তার কাছে একটি বাণী পাঠান।

বাসসের খবরে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব গাঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাণীতে লেখা, আপনার শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনার গতিশীল ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বাধীন ভারতের শান্তি ও উন্নয়নের পথে দীর্ঘ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কোন চিত্র রচনায় আপনার ব্যক্তিগত ঐতিহাসিক অবদান রয়েছে।

এ বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী হোক। ‘আমরা চীনের সাথে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু এই চীন জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিরুদ্ধে তিনবার বাধা দিয়েছে। তারা নির্যাতিত মানুষের প্রবক্তা দুঃখী মানুষের মুক্তির কথা বলে বাংলাদেশের গণহত্যাকারী একটি জঙ্গি শাসনকে সক্রিয় সাহায্য দান করেছে। তাদের কথায় ও কাজে কোনও সামঞ্জস্য নেই।’ বঙ্গবন্ধু আরও বলেন তিনি চীনের মতো একটি বড় শক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলতে চান না। ‘কারণ আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিশ্বাসী। কেউ কারোর অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়, আমরা এই নীতিতে বিশ্বাসী। আমরা কোনো যুদ্ধেজোটে নেই। কিন্তু কেউ যদি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসে বাংলাদেশের জাগ্রত জনতা তাকে রুখে দাঁড়াবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়