আব্দুম মুনিব : [২] বোরো সংগ্রহ অভিযানে চাল সরবরাহে চুক্তি লংঘনের দায়ে কুষ্টিয়ায় তিনটি অটোরাইস মিল ও ২৫৮টি হাসকিংসহ মোট ২৬১টি চালকল কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
[৩] একই সঙ্গে ওই চালকলগুলোর জামানত পুরো বাজেয়াপ্তসহ আগামী দুই মৌসুম তাদেরকে চুক্তির বাইরে রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
[৪] জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবারের বোরো মৌসুমে চাল সরবরাহে কুষ্টিয়ায় ২৯টি অটো ও হাসকিংসহ সব মিলিয়ে ৫৩৫টি মিল স্থানীয় খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। এদের মধ্যে ২৬৫টি চালকল সমুদয় চাল সরবরাহ করে।
[৫] ২৫৮টি হাসকিং ও তিনটি অটোরাইস মিল মালিক একেবারেই চাল সরবরাহ না করে চুক্তি লংঘন করে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাহসিনুল হক জানান, নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জেলায় বোরো চাল সংগ্রহ অভিযানের ৬৬ ভাগের মত অর্জিত হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সূত্র বলছে, মূল্যসহ চাল উৎপাদন খরচ সরকার নির্ধারিত কেজিপ্রতি চালের দর থেকে ৪-৫ টাকা বেশি পড়ে যাওয়ায় মিলাররা সংগ্রহ অভিযানের শুরু থেকেই ক্ষতিতে চাল সরবরাহে অনীহা দেখিয়ে আসছিলেন। খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে চুক্তিবদ্ধ মিলারদের সরবরাহে বার বার তাগিদ দিয়েও সংগ্রহ অভিযানে সফল করতে তারা ব্যর্থ হন।
[৬] তবে লাভ-ক্ষতির হিসাব না কষে চুক্তির দায়বদ্ধতা থেকে ছোট-বড় চাল কলের মালিকদের অধিকাংশই গুদামে চাল সরবরাহ করেন। অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জানান, এবার ধানের বাজার দর বাড়তি ছিল। এছাড়া বোরো মৌসুমে মোটা ধানের উৎপাদনও কম। ফলে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে উৎপাদিত চালের দর কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা বেশি।
[৭] কিন্তু তা সত্যেও চুক্তিবদ্ধ চালকলের অধিকাংশ মালিক ক্ষতিতে সরকারকে চাল সরবরাহ করেন। এদিকে বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান শেষ হতে না হতেই চলতি মাসেই আমন সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এবার আমন চালের সরকার নির্ধারিত দর ৩৭ টাকা। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাহসিনুল হক বলেন, আমনের বর্তমান বাজার দর প্রতিকেজি ৪০ টাকার বেশি। আর সরকার নির্ধারিত দর ৩৭ টাকা। যে কারণে এখন পর্যন্ত কোনো মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :