সাদ্দাম হোসেন : [২] শীতের শুরুতেই খেজুর রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদনের ধুম পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা গ্রামে। গুড় তৈরিকে কেন্দ্র করে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে গ্রামটি । আর জুটেছে কাজও কিছু মানুষের ।
[৩] এতে চাঙা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি । পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও মিস্টি জাতীয় খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষি বিভাগ তাল-খেজুর চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।
[৪] ভোরের আলো ফোটার আগে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে পাটালি গুড় তৈরি শুরু হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা গ্রামে । প্রতিদিন ৫০-৬০ কেজি গুড় উৎপাদন হয় এই গ্রামে। রাস্তার শোভা বর্ধনের জন্য খেজুর গাছ রোপন করেছিলেন গ্রামের মোকসেদ ও সলেমান নামে দুই ভাই । এসব গাছের রস থেকে তৈরি হচ্ছে গুড় । তাদের সাফল্য দেখে তাল-খেজুর গাছ রোপনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকে। তাল-খেজুর গাছ থাকায় বজ্রপাত থেকেও রক্ষা পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ ।গ্রামটি পরিচিত লাভ করেছে খেজুর ও তালের গ্রাম।
[৫] প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকে রস ও গুড় নিতে ভীড় জমায় এই গ্রামে বিভিন্ন বয়সের মানুষ । রসনা বিলাস খেজুর গুড়ের জুড়ি মেলানো ভার । রস ও গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে পিঠা, পায়েস, মিস্টান্ন সহ নানা মুখরোচক খাবার।
[৬] ২৪ বছর ধরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও-এর বৈরচুনা গ্রামে খেজুর রস দিয়ে গুড় তৈরি করছেন। এই গুড় খেতে সুস্বাদ এবং বাজারে এর চাহিদা বাড়ছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী। নজরুল বলেন,চার জন শ্রমিক দিয়ে প্রতিদিন গুড় উৎপাদান হয় ৫০থেকে ৬০কেজি। গুড় তৈরি সাথে সাথে এখান থেকে বিক্রি হয়ে যায় অর্ধেকেরও বেশি গুড়। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ক্রেতারা প্রতিকেজি ১শ টাকার দরে নিয়ে যায় এই গুড়।
[৭] পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার জানান,খেজুর গুড়ের সম্ভাবনা নিয়ে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
[৮] কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এ জেলায় ১০ থেকে ১৫ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। তবে একমাত্র পীরগঞ্জ উপজেলায় রস ও গুড় তৈরি হচ্ছে।