বাশার নূরু: [২] মো. আব্দুল হামিদ আরও বলেন, যুব সমাজ জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় ও সৃজনশীল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিসংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এদেশের যুবসমাজ ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য।
[৩] তিনি বলেন, মূলতঃ বাংলাদেশের ইতিহাস যুবদের গৌরবময় অবদানে ভাস্বর। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ জাতির বিভিন্ন সংকট উত্তরণে যুবসমাজের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
[৪] রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ। আগামী ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুবসমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে এ জনমিতিক সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে।
[৫] তনি বলেন, এজন্য আমাদের যুবসমাজকে পরিপূর্ণ দক্ষ ও মানবিক করে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাদেরকে পশ্চাদপদতা, কুসংস্কার, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রেখে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, পরমতসহিষ্ণু, উদার ও নৈতিকতাসম্পন্ন ও বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
[৬] রোববার ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০’ উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।