শিমুল মাহমুদ: [২] দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কখনোই হতাশার কথা বলবেন না। হতাশা দিয়ে কখনও লড়াই করা যায় না। যা করবেন আশা নিয়ে করতে হবে। গণতন্ত্রের সূর্য উঠবেই’।
[৩] তিনি বলেন, খুব ইন্টারেস্টিং লাগে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যেক দিন একটাই কাজ হলো বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলা। তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, ‘বিএনপি নাই, বিএনপি নাই।’ আসলে বিএনপি এত বেশি করে আছে, এত প্রবলভাবে আছে যে, তিনি প্রত্যেক দিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন।
[৪] বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যে ভাষ্য দেয়, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনও মিল নেই। দুর্ভাগ্য যে ভারত স্বীকার করেছে, তাদের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ কমে গেছে, অথচ আমাদের সরকার বলে প্রবৃদ্ধি ১০ ভাগ বেড়ে গেছে। ইউ জাস্ট ইমাজিন, একটা সরকার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে জনগণের সঙ্গে এমন মিথ্যা বলতে পারে। এর কারণ জনগণের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।’ বাংলাট্রিবিউন
[৫] পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে জিডিপির ১৮ শতাংশ আর কৃষি ক্ষেত্রে এক দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর স্টিম রুলার চালাতে তাদের এই পাবিলক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বাড়াতে হবে। তাদের খুশি রাখতে হবে। সবাইকে গাড়ি প্রণোদনা দিতে হবে। সেই গাড়ি মেইনটেন্যান্সের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা পাবে। আর কৃষক ও ভ্যান চালকরা খাবার পায় না।’
[৬] শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে কৌশল’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)।
