শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:১৪ সকাল
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লুৎফর রহমান হিমেল: গণমাধ্যমের সঙ্কট, দায় কার?

লুৎফর রহমান হিমেল: দেশের গণমাধ্যমে সঙ্কট আছে। এ নিয়ে কারো সংশয় নেই। শুধু করোনাকালেই নয়, করোনার আগে থেকেই এটা চলে আসছে। এখন এটা বড় আকার নিয়েছে। করোনাকালের সঙ্কটের কথা সবারই প্রায় জানা। এ কারণে করোনার আগের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলবো। সেই সময়টার চিত্র তুলে ধরলে এখনকার চিত্রটার আর ব্যাখ্যার দরকার পড়বে না। সব সময়ই বলা হয়, দেশের গণমাধ্যমগুলো আর্থিক অনটনের মধ্যে আছে। বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। এরপরই আমরা জানতে পারি, কমপক্ষে ১৮টি টিভি চ্যানেল ৫ বছর ধরে ইনক্রিমেন্ট দিচ্ছে না বা দিতে পারছে না। ৩ মাসের করে বেতন বকেয়া পড়ে আছে, এমন চ্যানেলের সংখ্যা কমপক্ষে ১০টি। ৬ মাসের করে বেতন বাকি পড়ে আছে অন্তত দুটি চ্যানেলের। গত এক বছরেই কমপক্ষে ৯টি চ্যানেলের জনবল ছাটাই হয়েছে। টিভি চ্যানেলের সবচে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হলো ‘বার্তাবিভাগ।’ একটি চ্যানেলের সেই বার্তাবিভাগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, বিনিয়োগকারীরা কী হঠাৎ করেই গরিব হয়ে গেছেন। তা মোটেও না। বিনিয়োগকারীদের সবারই আয় বেড়েছে, কারো কারো বেড়েছে শতগুণও।

ওয়ান-ইলেভেনের সময় যারা ১ হাজার কোটি টাকার মালিক ছিলেন, দেশ থেকে ভাগতে চেয়েছিলেন, এখন তারা লাখ কোটি টাকার মালিক। তাহলে টিভি বা পত্রিকার এমন দশা হলো কেন। এমন পরিস্থিতে সাধারণ মানুষজন মালিকপক্ষকেই দোষারোপ করে থাকেন। যেহেতু তারাই মিডিয়ার আয়োজক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মালিকরাই শুধু এ জন্য দায়ী। অর্থাৎ তাদের দায়ের ভাগ কী পুরোটাই। মালিকদের দায় অবশ্যই আছে। প্রতিষ্ঠান জন্ম দিয়ে তার রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মীদের বেতন-ভাতা প্রদান তাদের করতেই হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিদের ভুল পরিকল্পনা-পরিচালনার জন্য যে আর্থিক লাভালাভ কমে গেছে, প্রতিষ্ঠান সুনাম অর্জন করতে পারেনি, সে দায়ও কর্তা বিশেষ করে পত্রিকা, টিভি সম্পাদক-সিইওদের ঘাড়ে বর্তায়। এদের ব্যর্থতার কারণেই আজকে পত্রিকা বা চ্যানেলগুলোর এই দশা। মালিকদের যতো টাকাই থাকুক, তারা চান মিডিয়া তাদের নিজস্ব আয়ে চলুক। ভর্তুকিতে নয়। অর্থাৎ মিডিয়া বৃক্ষ থেকে ফল চান তারা। আমাদের মিডিয়াগুলোর দায়িত্ব ‘সুপাত্রে’ দেওয়া হয় না, এ দিকটি নিয়ে আমি আমার বইতেও লিখেছি।

মালিকপক্ষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত, সেসব নিয়ে সেখানে আমি বলেছি। বাংলাদেশের মিডিয়া নিয়ে লেখা কোনো বইয়ে এরকম স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ আছে কিনা, আমার জানা নেই। মিডিয়া কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়। এটি ব্যবসায়ও মনে রাখতে হবে মিডিয়া কর্তাদেরকেও। অন্যদিকে, মালিকদেরও যোগ্য সম্পাদক-সিইও বাছাই করতে জানতে হবে। শুধু গাছের ফল চেয়ে বসে থাকলে চলবে না। যারা সারাক্ষণ তাদের চারপাশে ঘুরঘুর করে আর তোষামোদ করে তাদেরকেই খুঁজে খুঁজে নিয়োগ দিলে তো সেই মিডিয়া পথে বসবেই। পথে বসবে একেকটি চ্যানেল-পত্রিকার তিন-চারশ কর্মীর পরিবারও। একটি কথা পরিষ্কার, মিডিয়ার এই সংকটের জন্য দায়ী অবিবেচক মালিক ও অযোগ্য সম্পাদক-সিইও গণ। যেহেতু অবিবেচক মালিক বাছাই করেন অযোগ্য সম্পাদকদের। আবার এই অযোগ্য সম্পাদকরাই বাছাই করেন তাদের মতো অযোগ্য কর্মীদের। এতে ফল যা হবার তাই হয়। বাংলাদেশের কোনো মিডিয়ার ব্যর্থতার জন্য মোটা দাগে এগুলোই সমস্যা। অন্তত আমার অভিজ্ঞতায়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়