রাশিদ রিয়াজ : আইএমএফ বলছে মধ্যএশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সহজে কোভিড মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারবে না। এ দুটি অঞ্চলের অর্থনীতি এবছর ৪.১ শতাংশ হ্রাস পাবে। গত এপ্রিলে আইএমএফ এ দুটি অঞ্চলের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হওয়ার ব্যাপারে গত এপ্রিলে যে আশঙ্কা করেছিল তারচেয়ে বরং ১.৩ শতাংশ বেশি হ্রাস পাবে বছর শেষে। এর কারণ হচ্ছে এ দুুটি অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি তেল রফতানি ও পর্যটন নির্ভর। কোভিড মন্দায় এ দুটি খাত সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দেশগুলোর অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়েছে। একদিকে তেলের চাহিদা যেমন হ্রাস পেয়েছে তেমনি পর্যটকদের ভ্রমণ এখনো শুরু হয়নি। আরটি/সিএনবিসি
আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ এসব অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতি কোভিড পূর্ববর্তী অর্থনৈতিক অবস্থার চেয়েও ১২ শতাংশ নিচের স্তরে অবস্থান করবে। আইএমএফ বলছে এসব দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট, জিডিপির হার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অন্তত আগামী একদশক কোভিড পূর্ব সংকটের নিচেই থাকবে দেশগুলোর অর্থনীতি। অর্থনীতিবিদরা এহেন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস অনিশ্চয়তা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আগাতে হবে দেশগুলোকে। আইএমএফ’র মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্যএশিয়া বিভাগের পরিচালক জিহাদ আজৌর জানান এসব দেশকে অর্থনীতিতে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করতে হবে।
তেলের বাজারে চাহিদা ফিরে আসার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে তেল রফতানি নির্ভর দেশগুলোকে। এখনো আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কোভিড পূর্ব বাজার মূল্যের ৪০ শতাংশ নিচে অবস্থান করছে। আগামী বছর তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও তা ব্যারেল প্রতি ৪০ থেকে ৫০ ডলারের বেশি উঠবে না। তেলের এ মূল্য এসব অঞ্চলের কোনো কোনো দেশের অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে আনার জন্যে যথেষ্ট নয়। সৌদি আরবের বাজেট ঘাটতি তেলের রফতানি আয় হ্রাস পাওয়ায় এতটাই বেড়েছে যে আগামী বছরে তেলের কাঙ্খিত মূল্যের চেয়ে তা দ্বিগুণ হলেই কেবল ওই ধরনের ঘাটতি পূরণ হতে শুরু করবে।