রাশিদুল ইসলাম : [২] গত দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমনে ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করলেও মার্কিন নাগরিকদের করের এ অর্থ অনেকটা ‘টয়লেটে ফ্লাশ’ হওয়ার মতই খোয়া গেছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালে এ ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৯ বিলিয়ন ডলার। স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল ফর আফগানিস্তান রিকনস্ট্রাকশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। টাস্ক এন্ড পারপাজ
[৩] গত দুই বছরে আফগানিস্তানে মার্কিন সরকার ৩২৩টি ঘটনায় ৩ বিলিয়ন ডলার লোকসান দিয়েছে।
[৪] ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে কোনো কারণ ছাড়াই ৩২৩টি খরচের ৯০ শতাংশ অর্থ লোপাট গেছে।
[৫] ঘুষ, চুরি, দুর্নীতির পরিমান আফগানিস্তানে মার্কিন ব্যয়ের ৯ শতাংশ। ক্ষমতার অপব্যবহারে লোকসানের পরিমান দাঁড়িয়েছে আরো ১ শতাংশ।
[৬] ২০০২ সাল থেকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র পুননির্মাণ খাতে ব্যয় করেছে ১৩৪ বিলিয়ন ডলার। এ ব্যয়ের ৪৭ শতাংশের অডিট করা সম্ভব হয়েছে।
[৭] পেন্টাগন গত এক বছর ধরে আফগানিস্তানে যুদ্ধে সফল নাকি ব্যর্থ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এমন সমালোচনায় তথ্য সংগ্রহই বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু অডিট রিপোর্টে বলা হচ্ছে এধরনের অপচয় বা দুর্নীতিতে শুধু মার্কিন নাগরিকের করের অর্থ ড্রেনে যাচ্ছে তা নয় আফগানিস্তানেও টেকসই উন্নয়ন বা স্থিতিশীলতা ব্যহত হচ্ছে।
[৮] এক বছর আগে আফগানিস্তানে বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পে এসব অপচয় সামনে এসেছে। মার্কিন সেনা কর্মকর্তা মেজর রব লডউইক এক বিবৃতিতে বলেছেন এধরনের প্রতিবেদনে কিছু ত্রুটিও রয়েছে।
[৯] তিনি এও বলেন গত ১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানে সন্ত্রাস প্রতিরোধের পাশাপাশি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়নও হয়েছে।