শিরোনাম
◈ নির্বাচন ও গণভোট ঘিরে সরব কূটনীতিকরা: কঠোর নিরাপত্তার বার্তা সরকারের ◈ ভালুকায় হিন্দু যুবককে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা, কী ঘটেছিল সেখানে ◈ পদত্যাগ করে ধানের শীষে নির্বাচন করার ঘোষণা অ্যাটর্নি জেনারেলের ◈ গ্রিসের ক্রিট উপকূলে মাছ ধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫ শতাধিক আশ্রয়প্রার্থী উদ্ধার ◈ প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু, যে প্রক্রিয়ায় ভোট দেবেন তারা ◈ বিশ্ব গণমাধ্যমে শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় জনস্রোতের খবর ◈ শহীদ হাদির কবর দেখতে মানুষের ভিড়, রাতেও থাকবে পুলিশি প্রহরা ◈ হা‌দির মৃত‌্যু‌তে গ‌র্জে উ‌ঠে‌ছে বাংলা‌দেশ, যৌথবাহিনীর অভিযান আর গানম্যানে কি আইন-শৃঙ্খলা ফিরবে? ◈ প‌শ্চিমব‌ঙ্গে মোদীকে গোব্যাক ব‌লে, বাংলা‌দে‌শি অনুপ্রবেশকারীদের বলে না- অভিযোগ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর  ◈ মৃত্যুর কিছুদিন আগে সাক্ষাৎকারে যেসব কথা বলেছিলেন ওসমান হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১০:০৫ দুপুর
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১০:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবদুন নূর তুষার: জীবন বড় রহস্যময়

আবদুন নূর তুষার: আমাদের জীবন খুবই রহস্যময়। আমি নানা রকম বই পড়তে ভালোবাসি এবং অভ্যাসটা ছোটবেলার। সেবা প্রকাশনীর অসংখ্য বই আমার সংগ্রহে আছে। তার মধ্যে একটা দুষ্প্রাপ্য সংগ্রহ ছিলো ভয়াল নামে ৯টি রহস্য উপন্যাসের একটি সিরিজ। সাগর চৌধুরী ছদ্মনামে সম্ভবত এটা লিখতেন রাহাত খান। ইমতিয়াজ রেহানা জিপ্পি আসাদ ও জাহিদ নামে ৪ বন্ধুর গল্প। আমি যখন ক্লাস এইটে আমার বাসা থেকে কোনো কেউ, (সন্দেহ করেছিলাম একজনকে) সেরদরে আমার কিছু বই বিক্রি করে দেয়। সেখানে এই বই ছিলো। বিক্রি করেছিলো বাসার কাছে এক ভাংগাড়ির আড়তে। জানতে পেরেই আমি ওখান থেকে আবার সেরদরে বই কিনে আনি, কিন্তু সেখান থেকে কয়েকটা বই আর আমি পাইনি। অনেক কেঁদেছিলাম, শিশুমন। আর প্রার্থনা করেছিলাম যদি কোনোভাবে বইগুলো পেয়ে যাই।

সেবা প্রকাশনীতেও যোগাযোগ করেছিলাম। তাদের কাছেও নাকি বইগুলো নেই। পুরনো বইয়ের দোকানসহ কোনোকিছু বাদ দিইনি। তারপর হাল ছেড়ে দিয়েছি। প্রার্থনা ছিলো খুব সাধারণ। বলেছিলাম স্রষ্টাকে যদি তোমার ইচ্ছে হয়, আমি আর খুঁজবো না। ফিরিয়ে দিও সময় মতো। সবই ছেলেবেলার কথা। একমাস আগে নেওয়াজ নামে একটি ছেলে আমাকে বলে, তার কাছে ভয়ালের কপি আছে। সে সেটা আমাকে দিতে চায়। কপি করে একদম নীলক্ষেতের কপি বইয়ের মতো। আমি খুবই অবাক হই। অসাধারণ এই ছেলেটি সে কাজটি করেও ফেলেছে। সে নিজে সংগ্রাহক। তাকে আমি সামনাসামনি দেখিনি। যখন দেখা হবে সেলফি তুলবো। ৩৮ বছর হয়ে গেছে বইগুলো আমি হারিয়েছিলাম। ৩৮ বছর আগে প্রার্থনা করেছিলাম। সেই প্রার্থনার উত্তর এভাবে পেলাম। যখন আমি আর এ বিষয়টি নিয়ে ভাবি না। বাদ দিয়ে দিয়েছি জীবন থেকে। ফিরিয়ে দিও সময়মতো, বলেছিলাম। এই সময় ৩৮ বছর। জীবন বড় রহস্যময়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়