আরিফ মাহবুব: ভালোবাসার মানুষটিকে কেউ কটুক্তি করলে, যদিও সেটা কটুক্তি নয় ব্যঙ্গাত্মক চিত্র মাত্র, যা প্রদর্শন করলেই যে তার কল্লা ফেলে দিতে হবে, তা শুধু ধর্মীয় উন্মাদনার মস্তিষ্কে বিদ্যমান, শুধু সময় হলেই তা উদয় হয়। অনীশ^রবাদী হওয়া বা থাকাটা একটি নাগরিক অধিকার যতোক্ষণ না সে ব্যক্তি দ্বারা সমাজ, জাতি বা দেশের কোনো ক্ষতি সাধিত হচ্ছে, কিন্তু তাই বলে দেহ থেকে ধড় আলাদা করে ফেলতে এ কেমন বিধান। আসলেই কী ধর্ম তাই বলছে? যখন ধরটা ঠিকই দেহ আলাদা হয়ে যায়, তখন আরেক পক্ষ ভণ্ড ধার্মিকরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে, ওরা ধার্মিক না আমাদের ধর্মটা শান্তির, আরে ভণ্ডের দল এতোই যদি শান্তির ধর্ম। তবে এই কাটাকাটি-হানাহানি, হত্যাযজ্ঞ থামাতে তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই যুদ্ধ ঘোষণা নয় কেন। জ্বি হ্যাঁ, দিনের পর দিন এ ভাবিয়ে আমাদের সমাজে এ ধরনের বর্বরতাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ধর্মগুরুরা পথে ঘাটে যেভাবে নারী ও ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছে তা দেখার কেউ আছে কি?
ধর্মীয় বর্বরতার কারণে সামুয়েল পাটিকে নির্মমভাবে গলা কেটে ফেলে দেওয়া হলো। ফ্রান্স সরকার তখন বারুদের মতো জ্বলে উঠে এর প্রতিবাদ জানালো, সরকারি ভবনগুলোতে বিল-বোর্ডে লাগিয়ে সামুয়েল পাটির বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে দেখানো মুসলমানদের সর্বোচ্চ ভালোবাসার মানুষটির সেই ব্যাঙ্গাত্মক চিত্রটি প্রদর্শন শুরু করলো। চরমপন্থী ইসলামিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশে গত জানুয়ারি থেকে ফ্রান্স জুড়ে কমপক্ষে ৭৩টি মসজিদ এবং ইসলামিক বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছিলো। যে ব্যক্তিরা ঘৃণা প্ররোচিত করতে পারে সন্দেহ করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগের অংশ হিসেবে গত কয়েকদিন আগে প্যারিসের বাইরে একটি মসজিদ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্স। বিগত ৬ বছরে বাংলাদেশে ১৮ জন শিক্ষক, ছাত্র, লেখক প্রকাশকদেরকে হত্যা করেছে ইসলামি জঙ্গিরা, সরকার কি এখনো বুঝতে পারছে না যে, এই সব উন্মাদের পথে-ঘাটে সামিয়ানা টাঙিয়ে ধর্মীয় বয়ান দেওয়া থামাতে না পারলে, এই দেশ , এই সমাজকে আর রক্ষা করা যাবে না। ফেসবুক থেকে