রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত জুনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই দুই ক্যাটাগরির ভিসা বাতিলের পর অন্তত ৫’শ ফার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ফার্ম বিদেশ থেকে দক্ষ আইটি লোকবল না আনতে পারায় তাদের কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দি প্রিন্ট
এইচ-ওয়ান বি ভিসায় অধিকাংশ ভারতীয় আইটি পেশাজীবী যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ পেত। তারা এসব ফার্মে তাত্ত্বিক ও প্রযুক্তিগত সেবা দিত। এই দুই ক্যাটাগরি ভিসায় অন্তত ২ লাখ কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। তাদের পরিবারের সদস্যরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপাকে পড়েছেন। এত বিপুল কর্মী যে ধরনের উৎপাদনশীলতা, সময় মত কাজ শেষ, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও বিনিয়োগে দক্ষতা দেখতে পেরেছিল তার বিকল্প উৎসের কোনো সন্ধান মেলেনি। একই সঙ্গে কোভিড মন্দায় এসব ফার্মগুলোর ওপর মন্দা আরো দীর্ঘ হচ্ছে।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিল বলছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভর্তির সময় সীমা সীমিত করতে চাচ্ছে এবং এটা করা হলে বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বড় ধরনের ঘাটতির সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির সময়সীমা কমালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর শিক্ষা নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে এবং এরফলে বৈধ অভিভাসন ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে শিক্ষার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব নেতার যে ভাবমূর্তি রয়েছে তাও ক্ষুণ্ন হবে। অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী অন্যদেশে পড়তে যাবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের বেথ ওয়ার্লিন বলেন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে এক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে।
ওয়ার্লিন বলেন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা চমৎকার লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এখন তাদের ক্ষেত্রে ভিসা জটিলতা শুরু হলে এধরনের অপ্রয়োজনীয় উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রদানে সক্ষমতা হ্রাস পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :