সালেহ্ বিপ্লব: [২] চালের দাম বাড়ার নেপথ্যে একটি সিন্ডিকেট, মাঠে নেমে এ কথা জানতে পেরেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানায়, সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে চালবাজদের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছে। সুপারিশ করেছে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার।
[৩] গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, অটো রাইস মিল মালিক সমিতির কিছু সদস্য এ ফটকাবাজিতে জড়িত। ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রচুর পরিমাণ ধান কিনে নিয়েছে। এখন বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে।
[৪] গত কয়েক সপ্তাহে চালের দর হু হু করে বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে প্রধান খাদ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হয়েছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয় মিল গেইটে মিনিকেট চালের দাম প্রতি কেজি ৫১ টাকা ৫০ পয়সা ও মাঝারি মানের চাল কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
[৫] চাল নিয়ে কারসাজির ঘটনা তুলে আনা ওই গোয়েন্দা রিপোর্টটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
[৬] রিপোর্টে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের হিসেবনিকেশ তুলে ধরে গোয়েন্দারা বলেছেন, এই মৌসুমে চালের সংকট হওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং ৫ লাখ টন ধান/চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা।
[৭] একই অভিমত জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা।
[৮] ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস আরও জানায়, সিন্ডিকেটের চালবাজি বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে।
আপনার মতামত লিখুন :