লিহান লিমা: [২] পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালার পর রোববার পাকিস্তানের করাচিতে বৃহৎ জনসমাবেশ করেছে দেশটির ১১টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)। সমাবেশে অংশ নেয়া জনতা ‘দূর হও ইমরান, তোমার পদত্যাগ চাই’ স্লোগান দেন। ডন/এনডিটিভি
[৩] সোমবার সকালে মুসলিম লীগ নেত্রী মারিয়াম নওয়াজ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, করাচির হোটেল রুম থেকে তার স্বামী সফদর আওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারিয়াম ও তার স্বামীসহ পিডিএমএর ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কায়েদ-ই-আজম জিন্নাহের মাজারের পবিত্রতা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার করাচীর সমাবেশের পর পিডিএম নেতারা জিন্নাহের মাজার জিয়ারত করেছিলেন, এই সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন, যা মাজারের পবিত্রতা ভঙ্গের শামিল বলে মন্তব্য করেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
[৪] পাকিস্তানে গত কয়েক মাসে বিদ্যুত, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ সাধারণ জনগণ। বিরোধী দল দ্বিগুণ মুদ্রাস্ফীতি, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সংকটের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, ইমরানের গত দুই বছরের শাসনামলে গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ, ভিন্নমত ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন করা হচ্ছে। করাচির র্যালিতে অংশ নেয়া ৬৩ বছর বয়সী ফকীর বেলুচ বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি গরিবের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। অনেকে সন্তানের মুখে ভাত তুলে দিতে পারছেন না।’
[৫] রোববারের সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ন্ওয়াজ শরিফের কন্যা মুসলিম লীগ নেত্রী মারিয়াম নওয়াজ বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের সেন্সর করেছে এবং ও ব্যবসাকে তলানিতে নিয়ে ফেলেছে। তার পদত্যাগ পর্যন্ত লড়াই চলবে।’
[৬] সমাবেশে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এর চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত অতীতের একনায়কদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। তার পরিণতি তাদের মতোই হবে।’
[৭] পিডিএম এর রাজনীতিবিদরা একযোগে বলেন, সেনাবাহিনীর সমর্থনে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসা ইমরান খানের সরকারের পতন পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পাকিস্তানে ২০২৩ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :