মনিরুল ইসলাম: [২] একাদশ জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১১ম বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। রোববার কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি) এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] কমিটির সদস্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মমতাজ বেগম, আসাদুজ্জামান নূর, কাজী কেরামত আলী এবং অসীম কুমার উকিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
[৪] জানা যায়, বৈঠকে জাতীয় জাদুঘরের সামাজিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জাদুঘরটিকে আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণে কি কি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা প্রদান সংক্রান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
[৫] বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত প্রবন্ধ, গল্প এবং কবিতার পাশাপাশি ৬৪ জেলায় যে ৬৪টি নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে তা সঠিকভাবে যাচাই করে মানসম্মত উপায়ে প্রচার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে মূল্যায়িত হয়ে ৩৩টি নাটকের পান্ডুলিপি নির্ধারিত হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
[৬] মন্ত্রণালয়ের অধীন যে ১৭টি সংস্থা রয়েছে তার প্রতিটিই জনসম্পৃক্ত হওয়ায় কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কতজন দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে সে বিষয়টি ব্যানার বা পোস্টারের মাধ্যমে অবহিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
[৭] বৈঠকে উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতিতে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরাধীন জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারে সিফটিং পদ্ধতি চালু করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠক ও গবেষকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
[৮] বৈঠকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে জাদুঘর সম্পর্কে ধারণা প্রদানসহ ইতিহাসমনস্ক আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাদুঘরের নিজস্ব বাসে গ্যালারি প্রদর্শন করানোর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের সুপারিশ করা হয়।
[৯] সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকগণ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।