শাহ আলী ফরহাদ: ‘আমরা মেয়েরা কেন অস্বস্তিতে থাকবো? আমরা কেন ভয়ে থাকবো? আমাদের ছোটবেলা থেকে ভয় দিয়ে কেন বড় হতে হবে? আমরা সাহস নিয়ে কেন চলতে পারবো না? হ্যাঁ, সেলফ প্রটেকশন স্কিলস জানা উচিত, অফকোর্স। কিন্তু আমাদের কেন এভাবে থাকতে হবে? কেন আমরা জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে চলবো? আমরা মেয়ে বলে কেন ভয়ে চলতে হবে... এক্সট্রা কেয়ারফুলি চলতে হবে, অন্যভাবে চলতে হবে? আমাদের যেটা মনে চায়, যেটা ইচ্ছা, যেটা আমরা করতে পারি, সেটা কেন আমরা করতে পারবো না?’ ১৪ অক্টোবর “উইমেন’স সেফটি ইন পাবলিক প্লেসেস’ ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নগুলো রাখেন সিআরআই এর ভাইস চেয়ারপার্সন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। সায়মা আপা কিন্তু চমৎকারভাবে তার প্রশ্নের মধ্যেই উত্তরও দিয়ে দিয়েছেন।
অর্থাৎ, মেয়েদের ছোটবেলা থেকেই অস্বস্তি বা ভয়ে থাকতে হবে না। তারা সাহস নিয়ে চলবে। তারা জেন্ডার আইডেন্টিটি নয়, বরং হিউম্যান আইডেন্টিটি নিয়েই চলতে পারবে নিঃসংকোচে। তাদের যা মনে চায়, যেটা ইচ্ছা, যেটা তারা করতে পারে, সেটাই তারা করতে পারবে নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায়। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি এই মানসিকতা তৈরি করতে পারলেই যৌন অপরাধসহ নারীর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা বন্ধ করা যাবে। এই দায়িত্ব কিন্তু সবার। তবে সবচেয়ে বেশি অভিভাবক ও শিক্ষকদের। কারণ ফরম্যাটিভ স্টেজে এই মানসিকতা তৈরি করতে না পারলে প্রাপ্ত বয়সে হাজার কাউন্সেলিং করেও লাইনে আনা যাবে না। ফেসবুক থেকে