ড. তোফায়েল আহমেদ: ‘কর্তা’ এবং ‘কর্ম’টি নিয়ে যদিও কথা বলছি। কিন্তু ওই ঘৃণ্য শব্দটি বারবার উচ্চারণ করতে রুচি ও বিবেকে বাধে। মৃত্যুদণ্ডের বিধান হলো। এটি রাজপথের রাগী মানুষগুলোর দাবি ছিলো। এ বিধান বহল হলো। চলুক এবং বিচার নিশ্চিত হোক। এটি প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার কথা খুব বেশি শোনা যাচ্ছে না। সমাজে যৌন অপরাধ বৃদ্ধির অনেক নতুন কারণ প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে। পুরনো কারণ দূর তো হচ্ছেই না, নতুন কারণগুলো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে এবং নানাভাবে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।
[১] সেলফোনে পর্নো ছড়াছড়ি। এখন প্রতি মুহূর্তে ইউটিউবে যে কেউ ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় পর্নো ভিডিও দেখতে পারছে এবং সেসব ভিডিও উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিকৃত যৌন আকাক্সক্ষা সুষ্টি করছে।
[২] অনলাইনে খবরের কাগজ পড়তে গিয়েও হোচট খাচ্ছি। মূলধারার পত্র-পত্রিকার অনলইন ভার্সনে প্রচুর সুরসুড়ি মার্কা আইটেম। নিষিদ্ধ বা দূষিত প্ররোচণা মানুষকে স্বাভাবিকভাবে কৌতুহলি করে। কৌতুহল একসময অভ্যাস বা বদঅভ্যাসে পরিণত হয়।
[৩] নানা পণ্য প্রসারের বিজ্ঞাপনে নারীর শরীর, চেহারা ও অভিব্যক্তিকে সুচতুরভাবে ‘পণ্য’ হিসাবে ব্যবহার কতোটুকু গ্রহণযোগ্য? পুঁজিবাদি সমাজ নানা মোড়কে নারীকে যেভাবে পণ্যে পরিণত করেছে তাতে নারীর কোনো সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ নেই।
[৪] পোশাক-আশাক, সা জ-সজ্জা এবং শালীনতা-সম্ভ্রম যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে সমাজ-সংস্কৃতির বিষয়ে পুরোপরি উদাসীনতা প্রদর্শন সঙ্গত নয়।
[৫] অন্ধকারে জংলাপথে সাপের ভয়, অসতর্কভাবে রাজপথে চলতে বেপরোয়া যানবাহনের ভয়, তেমনি পৃথিবীর সব দেশে সর্বত্র অমানুষের ভয় ও সতর্কতার কথা ভুললে চলবে না। [৬] সমাজের সকল মানুষ যেকোনো অবস্থায় বিপন্নের পাশে দাঁড়াবে, এ সংস্কৃতি ও স্বভাবের পুনর্জাগরণ দরকার। তাহলে সমাজ সার্বিকভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :