দেবদুলাল মুন্না:[২] অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ সোসাইটি অফ অ্যানেসথেসিওলজিস (ডব্লিউএফএসএ)’র মতে, চিকিৎসাসেবার মান ঠিক রাখতে প্রতি লাখ রোগীর বিপরীতে পাঁচজন করে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট থাকা দরকার। সেখানে বাংলাদেশে এই সংখ্যা একজনেরও কম, অর্থাৎ এই মুহূর্তে দেশে অ্যানেসথেসিওলজিস্টের সংখ্যা শূন্য দশমিক ৭৩ জন।
[৩] শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ‘বিশ্ব অ্যানেসথেসিয়া দিবস’। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিস্টের হিসাবে, বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে মাত্র ২৬০০ জনের মতো বিভিন্ন ক্যাটাগরির অ্যানেসথেসিওলজিস্ট রয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে পদ ও অ্যানেসথেসিওলজিস্টের সংখ্যা সাড়ে ৯শর মতো।
[৪] এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, রোগী অনুপাতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে অ্যানেসথেসিওলজিস্টের পদ অনেক কম। বেসরকারি পর্যায়ের অবস্থাও খুব একটা ভালো না। সাধারণত সরকারি অ্যানেসথিওলজিস্টরাই ওভার ডিউটি করে বেসরকারি পর্যায়ে সেবা দিয়ে থাকেন। এর ফলে দেখবেন একটি সরকারি হাসপাতালে অপারেশন কম হয়। কিন্তু পাশের একটি ছোট ক্লিনিকে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ থেকে দশটা ওটি হয়।
[৫] অধ্যাপক দেবব্রত বনিক বলেন, এই বিষয়ে (অ্যানেসথেসিয়া) সবচেয়ে বড় সমস্যা পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ কম। ঢাকার ভেতর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড হাসপাতাল) ও বাইরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে একজনও অ্যানেসথেসিওলজির অধ্যাপক নেই। ফলে একটা ছেলে যখন দেখবে তার ওপরে ওঠার জায়গা নেই, তখন সে আর এই বিষয়ে আসবে না।