সুজন কৈরী: [২] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জব্দ ১২ কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের নতুন মাদক অ্যামফিটামিনের চালানের রহস্য উদঘাটন করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
[৩] এই মাদক পাচারের ঘটনায় জড়িত মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অ্যামফিটামিন আমদানি ও বিক্রি চক্রের মূলহোতা হলেন আবুল কালাম আজাদ বান্টি। তিনি ভারতীয় চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে পাচারের জন্য অ্যামফিটামিন মাদক সীমান্ত এলাকা বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করেছিলেন। এরপর বান্টি অ্যামফিটামিনগুলো জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী ও নজরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে এসব অ্যামফিটামিন মালয়েশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়া পাচারের জন্য তারা কিনেছিলেন। ডিএনসির হাতে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
[৪] এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, বিমানবন্দর রপ্তানি কার্গো ভিলেজ থেকে ১২ কেজি ৩২০ গ্রাম অ্যামফিটামিন পাউডার উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকার মাহমুদা ম্যানশনের কালাম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আবুল কালাম আজাদ বান্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৫] এর আগে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে চক্রের সদস্য মো. মাজেদ, জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী, মো. নজরুল ইসলাম, বাবলু মজুমদার ও বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৬] ডিজি আহসানুল জব্বার আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর বান্টি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী এবং নজরুল ইসলামকে অ্যামফিটামিন পাউডার সরবরাহ করেছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে দীন ও সাইফুল নামে দুজন ব্যক্তি কাজ করছিলেন। বান্টি এসব মাদক পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কেমিক্যাল ব্যবসায়ী হাবিব মাস্টারের মাধ্যমে চোরাইপথে অবৈধভাবে সংগ্রহ করতেন।
[৭] জিজ্ঞাসাবাদে বান্টি আরও জানিয়েছেন, যে কেমিক্যাল ব্যবসায়ী হাবিব মাস্টারের সহযোগী রাজ খান মাদক সীমান্ত পার করিয়ে দেয়া এবং ড্রিমল্যান্ড, করতোয়াসহ বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতেন।
[৮] ডিএনসির মহাপরিচালক গ্রেপ্তার জুনায়েদ ও নজরুলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানান, তারা ভারত থেকে অ্যামফিটামিন সংগ্রহ করে তৈরি পোশাকের কার্টনের মধ্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কার্বণের লেয়ার দিয়ে কাভিটি তৈরি করে মাদক মালয়েশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের চেষ্টা করছিলেন। আসামি দীন ইসলাম ও সাইফুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।