শরীফ শাওন: [২] প্যানেলের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে নিয়মিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ প্রার্থীদের তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। প্যানেল প্রত্যাশী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের দাবির পক্ষে ১৮০ সংসদ সদস্যের ডিও লেটার ও সংসদীয় কমিটির সুপারিশ রয়েছে। তারপরও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগে গুরুত্ব দেয়নি। একারণে আমরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।
[৩] মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে কাফনের কাপড় পড়ে সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ পালনকালে তিনি একথা বলেন।
[৪] কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, মন্ত্রণালয় সচিব কমিটির সুপারিশকে গুরুত্ব না দিয়ে করোনাকালে ৩২ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তা চালিয়ে যাবো।
[৫] গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রথম দিনের এবং সোমবার একই স্থানে দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন প্যানেল প্রত্যাশিরা।
[৬] ২০১৮ সালের নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আবেদন করেন ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ জন। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। শূন্যপদ বাকি রেখেই নিয়োগ দেওয়া হয় মাত্র ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির অপেক্ষায় থাকলেও তাদের বিষয়ে কোনও বিবেচনা করা হয়নি।