শিমুল মাহমুদ: [২] গত ৫ অক্টোবর থেকে টানা অষ্টম দিনের মতো শাহবাগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্ল্যাটফর্ম ‘ধর্ষনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। সোমবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান করে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদ জানায়।
[৩] বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি কখনও আমাদের ছিল না। আমাদের উদ্দেশ্য শুরু থেকেই ছিল আন্দোলনের মাধ্যমে গণজাগরণ সৃষ্টি করা। দেশে অনেক আইন হয়েছে। আইনের বাস্তবায়ন না হওয়ায় নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না। ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। সেটির বাস্তবায়ন হলেই কেবল আন্দোলন স্থগিত করবো। অন্যথায় আন্দোলন চলবে।
[৪] তিনি বলেন, দেশে আইন অনেক আছে। কিন্তু কোনও কাজে লাগেনি। আর এখন ধর্ষণের বিরুদ্ধে একটি জোরালো আন্দোলন চলছে। সেটিকে দমন করার জন্যই এসব আইনের অনুমোদন হচ্ছে। ধর্ষণ সংস্কৃতি গণজাগরণ ছাড়া রোধ করা সম্ভব না।
[৫] ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য হচ্ছে ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করা। মৃত্যুদণ্ড দিয়ে কখনও ধর্ষণের মতো অপরাধ সমাজ থেকে নির্মূল করা যাবে না।
[৬] সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা : ইসমাঈল ইমু