রাজু চৌধুরী: [২] চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন কোলাগাঁও বড়ুয়াপাড়া এলাকায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের মূলহোতা ও প্রধান আসামি হান্নানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
[৩] রোববার (১১ অক্টোবর) সকালে নগরীর চান্দগাঁও র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি -৩ অধিনায়ক, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আলী আশরাফ তুষার জানান, শনিবার ১০ অক্টোবর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন কলেজ বাজারস্থ প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন মেসার্স শাহ মোহছেন আউলিয়া হার্ডওয়্যার এন্ড বাদ্রার্স এর সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন কোলাগাঁও বড়ুয়াপাড়া এলাকায় গত ৭ জুন চাঞ্চল্যকর নববধূ দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ১নং আসামি ও ঘটনার অন্যতম মূলহোতা ধর্ষক হান্নানকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্য ৩ ধর্ষক জুয়েল (২৮) এবং মিন্টুকে (৩৩) গত ১৮ জুন এবং মোঃ আবু তাহের প্রকাশ মন্টুকে (৩০) গত ৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে পটিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
[৫] উল্লেখ্য, গত ৭ জুন সন্ধ্যার পরে চট্টগ্রাম জেলায় পটিয়া থানাধীন কোলাগাঁও বড়ুয়াপাড়ায় হান্নান, মন্টু, জুয়েল এবং মিন্টু নামে ৪ জন বখাটে যুবক মাত্র ৩ দিন আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এক নবদম্পতিকে স্ত্রীর বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পথে তাদেরকে পথরোধ করে এবং জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে আধা কিলোমিটার দূরে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে পালাক্রমে প্রত্যেকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিল। এই ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পটিয়া থানায় ১৫ জুন ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামি হান্নানকে আটকের মাধ্যমে গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারনামীয় ৪ জন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :