শাহজালাল ভূঞা: [২] ফেনীতে নিখোঁজের দু’দিন পর ম্যানহোল থেকে মো. ইউনুস বাবু (২২) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] শনিবার রাতে শহরের পাঠানবাড়ী রোডস্থ শফিকুর রহমান সড়কের পুরাতন রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকার তাসপিয়া ভবনের ম্যানহোল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ইউনুস বাবু শহরের শাহীন একাডেমী এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার।
[৩] নিহতের স্বজনরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউনুস বাবু ও তার বন্ধু শাহারিয়ার তাসপিয়া ভবনের দারোয়ান মোজাম্মেল হক শাহিন এর কাছে যায়। রাতে চিৎকার চেঁচামিচি শুনে স্থানীয়রা সেফটিক ট্যাংক হতে রক্তাক্ত অজ্ঞান অবস্থায় শাহরিয়ারকে উদ্ধার করে। এসময় সঙ্গে থাকা ইউনুস বাবুর কোনো সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার রাতে মা রেজিয়া বেগম বাড়ীটির কেয়ারটেকার মাজাম্মেল হক শাহিনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। একপর্যায় টানা দু’দিন তার খোঁজ না পেয়ে তিনি ধারনা করেন ইউনুস বাবুও ওই সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে থাকতে পারে। শনিবার রাতে তিনি সেখানে গিয়ে সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে খোঁজ নিলে একটি মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
[৪] ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আদিল মাহমুদ জানান, পুলিশ সেফটিক ট্যাংক থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি ইউনুস বাবুর বলে শনাক্ত করেছে স্বজনরা।
[৫] ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে ভবনের কেয়ারটেকার মােজাম্মেল হক শাহিন ও তার সঙ্গী রাকিব নামে এক যুবক মিলে তাদের দুজনকে কুপিয়ে ম্যানহোলে ফেলে দিয়েছে। কেয়ারটেকার শাহীনকে শুক্রবার দুপুরে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিঙ্গাসাবাদ চলছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাপাতিও জব্দ করেছে পুলিশ।
[৬] তিনি আরো জানান, কি কারণে ইউনুস বাবুকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। নিহত ইউনুস বাবুর বন্ধু আহত শাহারিয়ার বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি