রবিউল আলম : ধর্ষণ প্রতিরোধ, মাদক নির্মূল অপরিহার্য। মাদক ও ধর্ষণের ভয়াবহতা সমাজে সামাজিকতায়ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। যে পরিবার মাদকের শিকার, তারা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে যারা, তারা সামাজিকতাই ছেড়ে দিয়েছেন। আইন-আদালত দিশেহারা অপরাধের মাত্রা ও সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক সহায়তা চাইছে। আমি নিজেও বিশ্বাস করি দরে, জেলখানায় ভরে, ক্রসফায়ারে প্রতিরোধ করা যাবে না। ধর্ষণ ও মাদক প্রতিরোধে সামাজিক ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে, আমরা এখনো যারা সমাজ ও রাজনীতিকে নিয়ে ভাবছি, তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে পাড়ায় মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিনোদনের জন্য শিশু কিশোরদের সময় দিতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের জন্য সংস্কৃতি, সাহিত্যমেলা। যুবকদের খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিকতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। একক পুলিশের উপর আস্তা রাখা যাচ্ছে না, পুলিশের কিছু অংশ মাদক কারবারী হয়ে পরেছে। এলাকার মাদবর, চেয়ারম্যান মেম্বর কাওন্সিলরদের বিশ^াস করা যাচ্ছে না রাজনৈতিক ও অর্থলালসার কারণে মাদক ও ধর্ষণের মতো মিথ্যে মামলার আসামী করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করার নজির আছে।
প্রতিটি নির্বাচনী ওয়াদা এক নম্বরে থাকে মাদক নির্মূলের আরও কতো চমকপ্রদ ওয়াদার শেষ নেই। টিভির বিজ্ঞাপনের মতো ভোটের পরে পানি আর ফুস করে না, সবাই ব্যস্ত হয়ে পরে নিজের আখের গোছাতে। রাষ্ট্রে কোনো অঘটন ঘটলে অবৈধ অর্থে ভাড়া করা লোক নিয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সভা সমাবেশ করতে দেখা যায়। রাজনৈতিক ও রাজনীতি এই জনপ্রতিনিধিদের মাঝে নেই। অর্থনীতি বোঝে না বিদ্যার অভাবে। সহজ উপায় খুঁজতেই দলীয় নেতাকর্মী বাদ দিয়ে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়ে চলে যান, সন্ত্রাসী মাস্তান পুষতে নারী ও মাদকের প্রয়োজন মিটাতে মিটাতে কখন নিজের বাড়ি ঘরে মাদকের প্রবেশধিকার করে দিয়েছেন, নিজেও জানতে পারেন না। নারীর অভাব মিটাতে নিজের মেয়ে ও ঘরের বউয়ের সর্বনাশ হয়েছে কিনা, বুঝতে পারেন না। আপনার নির্বাচনি এলাকার দায়, আপনাকেই নিতে হবে।
লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি