শাহীন খন্দকার : [২] রাজধানীর বেঙ্গনবাড়ি জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক উপপরিচালক ডা. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, এই রোগের অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এই বিশেষায়িত হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
[৩] ১৯৯৯ সালে এই ইনস্টিটিউটটির নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ১৯ জুন, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালের নতুন ১২ তলা ভবনের কাজ উদ্বোধন করেন। এখানে কান, নাক এবং গলার রোগ নিয়ে গবেষণাও হচ্ছে এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ১৩৫ শয্যার এই হাসপাতালে।
[৪] কিভাবে বুঝবেন শিশু বধির এবং কী করবেন সেই সম্পর্কে ডা. মজিদ বলেন, শ্রবণ শক্তি আমাদের পঞ্চম ইন্দ্রিয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাতেই যা বিকশিত হয়। এ সময় সন্তান বহিঃপরিবেশের শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়ে থাকে।
[৫] তিনি আরো বলেন, পাঁচবছর বয়সে শিশুর ৮০ শতাংশ মানসিক বিকাশ সম্পন্ন হয়। কোনো শিশু যদি জন্ম থেকে কানে শুনতে না পায়, তবে কথা বলতে না পারা ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। একে আমরা মূক ও বধির বলি।
[৬] শিশু বধির সম্পর্কে তিনি বলেন, ছোটবেলায় অনেক শিশু ঠিকমতো কথা বলতে ও শুনতে পায় না। এ সময় পিতামাতা, নিকটজন শিশুর বধিরতা সন্দেহ করে। একজন বধির শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময়, যে কথা বলে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে চেষ্টা করে লিপ রিডিংয়ের জন্য।
[৭] আবার যদি শিশু আশপাশে বড় আওয়াজ বা শব্দে চমকে না ওঠে, যদি ছয় মাস বয়সে শব্দের উৎসের দিকে মাথা ঘুরিয়ে দেখতে চেষ্টা না করে, এক বছর বয়সেও কোনো অর্থপূর্ণ শব্দ না বলে, দুই বছর বয়সের মধ্যে দুটি শব্দের বাক্য না বলে।
[৮] করনিয় সর্ম্পকে বলেন, প্রথমে নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক বধিরতা কখন কীভাবে শুরু হয়েছে তার ইতিহাস নেবেন এবং প্রয়োজনে অডিওলজিক্যাল টেস্ট করাবেন।
[৯] কোন রোগে বধিরতা হচ্ছে, সেটি নির্ণয়ের প্রয়োজনে আরও দু-একটি টেস্ট লাগতে পারে। তা হলো-নিউরোলজিস্ট ও সাইকোলজিস্ট। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে জন্মগত বধিরতা দূর করা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে ।
আপনার মতামত লিখুন :