ডেস্ক রিপোর্ট: টিকটক-লাইকি রঙিন জগৎ। ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের ভিডিও। ভিউ লাখ লাখ। কিশোর-কিশোরীরা যেন মেতেছে তারকা হবার নেশায়। মূলধারার গণমাধ্যম ছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকা হবার হাতছানি। সেখানে বুঝে না বুঝে ঝাঁপ দিতে গিয়ে অপরাধের অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা।
মান কিংবা বক্তব্য নয়, এখানে মূখ্য প্রচার। হিসেবটা এখানে লাইক, কমেন্ট আর ফলোয়ারের।
কিন্তু টিকটক-লাইকির মাধ্যমে অপরাধ কি শুধু কিশোর গ্যাংয়ের মধেই সীমাবদ্ধ? অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভয়ানক তথ্য।
জানা গেছে, টিকটককে ঘিরে আয়োজন করা হয় এমন সুইমিং পার্টি। যার আড়ালে চলে দেহ ব্যবসা।
টিকটক করেন এমন এক তরুণীর সাথে ছদ্মবেশে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। সুযোগ চান একটি টিকটক পার্টিতে যোগ দেওয়ার। টিকেট দিতে এসে ওই তরুণী বলেন, প্রায় ২৫০ থেকে সাড়ে ৩০০ মত লোক আসবে ওই পার্টিতে। রুম আছে ৫টা। রুম লাগলে দিতে পারব।
সমাজ ও অপরাধ বিজ্ঞানী তৌহিদুল হক বলেন, এই ধরনের সংস্কৃতির সাথে শিশুরা যদি অভ্যস্ত হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ অসুস্থ ভাবেই চলবে।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, তারা এসব অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখবেন।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অ্যাপসগুলো দেশি বা বিদেশি হোক বাংলাদেশে এরকম অপরাধমূলক কাজ করলে ব্যবস্থা নেয়া যায়।
টিকটকের পুল পার্টিতে পরিচয় হওয়ার পর বাসায় ডেকে নিয়ে ৫ কিশোরী ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামী দেওয়ান রসূল হৃদয় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। যদিও ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত মডেল দাবি করা অভিকা আহমেদ রিয়া এখনও রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পূর্বপশ্চিমবিডি